পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় তরঙ্গ ত্রিভুজের ভুজবল ওয়াকার সতর্ক-লোক ; সেই রাত্রে সে শয়ন করিবার সময় পিস্তলটি হাতের কাছে রাখিল । পরদিন প্রভাতে উঠিয়া সে প্রতির্ভোজনের সময় হো-লিপ্রদত্ত ক্ষুদ্র পত্ৰখানি পকেট হইতে বাহির করিয়া তাহ। পাঠ করিতে লাগিল । পত্ৰখানি বিশুদ্ধ ইংরাজী ভাষায় লিখিত, হস্তাক্ষরও পরিচ্ছন্ন ; ওয়াকার পত্রখানি দুইবার মনে মনে পাঠ করিয়া তাহা কণ্ঠস্থ করিল, তাহার পর দেশলাই জালিয়া তাহার চিন্তু বিলুপ্ত করিল এবং একটা চুরুট ধরাইয়া ধূমপান করিতে লাগিল । সে অন্যান্ত দিন যে সময় অফিসে যাইত, সেদিন সেই সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পূর্বেই স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ডে চলিল । সে তাহার অফিসে পৌছিবার চারি মিনিট পরে একজন চীনাম্যান একটি পার্শেল সহ সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া ওয়াকারের সহিত সাক্ষাতের জন্য বহিদ্বারে অপেক্ষা করিতে লাগিল । |, ওয়াকারের আফিসে আসিবার পূর্বেই ডি ডি অফিসে আসিয়াছিলেন । র্তাহার ডেক্সের উপর তখন একগাদা ফরম, নথি-পত্র, অপরাধীদিগকে সনাক্ত করিবার জন্য ব্যবহৃত সাদা ফরম প্রভৃতি সজ্জিত ছিল । ডি ডি ওয়াকারকে তাহার সম্মুখে আসিতে দেখিয়া মুখ তুলিয়া বলিলেন, “আমি তোমার সংগৃহীত পরিচয়-পত্ৰখানি পড়িতেছিলাম।” ওয়াকার বলিল, “আপনার পাঠ শেষ হইলে আমি স্বয়ং উহা মহাফেজখানায় লইয়া যাইব ।” г