পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 8 × (*) সবিতা রায় ফতেসিংহ বংশের প্রতিষ্ঠাতা সবিতা রায় সম্বন্ধে কিংবদন্তী যtহ এখন ও প্রচলিত অাছে তাহ এইরূপ । আকবর সাহের সময়ে এই প্রদেশ একজন হাড়ি রাজার অধীন ছিল । হাড়ি রাজার নাম ফতেসিংহ ; তদনুসারে প্রদেশের নাম ফতেসিংহ। হাড়ি রাজার রাজধানী ফতেপুর গ্রাম কান্দির দক্ষিণ পশ্চিমে তিন ক্রোশ মধ্যে । হাড়ি রাজা বাদশাহের বিরুদ্ধাচারী ছিলেন । রাজা মানসিংহ এই পথে যাইবার সময় হাড়ি রাজাকে দমন করেন । মানসিংহের সেনাধ্যক্ষ অথবা বকশী সবিতা রায় হাড়ি রাজাকে পরাস্ত করেন ; ফতেপুর হইতে অনতিদূরে যেখানে হাড়িবংশের ধ্বংস হয়, সে স্থানকে অদ্যাপি মুণ্ডমালা বলে। সবিতা রায় পুরস্কার স্বরূপ ফতেসিংহ পরগণা ও পলাশী পরগণা লাভ করেন। পুণ্ডরীককুলের প্রাচীন পুরোহিতবংশীয় ৮ হরিশ্চন্দ্র দুবের বাটতে একখানি পুথির পাতায় সবিতা রায়ের বংশাবলী লিখিত আছে ; তাহাতে সবিতা রায়ের পিতার নাম বসন্ত রায় লিখিত আছে। পুত্রপৌত্রাদির নাম পুণ্ডরীককুলকান্তিপঞ্জিকায় লিখিত নামের সহিত অভিন্ন । পঞ্জিকামতে সবিতা রায়ের পরিচয় এইরূপ —সবিতা দুই পুত্র ও চারি পৌত্র সঙ্গে লইয়া মানসিংহের সহিত বাঙ্গালায় আসিয়াছিলেম । “কোচাড়, কোচবিহার ও খরগপুর” যুদ্ধে পরাক্রম প্রকাশ করিয়া তিনি মানসিংহের প্রীতি উৎপাদন করেন। মানসিংহ তাহাকে দিল্লী লইয়া গিয়া বাদশাহের প্রদত্ত ভূমি ভোগের সনন্দ দেওয়ান। পরে “কায়স্থ রাজা” “শুর সয়িদ” ও “হডিপ” গণকে পরাস্ত করিয়া সবিতা রায় ফত্তেসিংহের অধিকার লাভ করেন। বাদশাহের অনুগ্রহে তাহার ভূসম্পত্তি আরও বিস্তার লাভ করে। পরে পুত্র পৌত্র ও প্রপৌত্র রাখিয়া তাহার মৃত্যু হয় । বাঘভাঙ্গ। গ্রামে রামসাগর পুষ্করিণী হইতে একখণ্ড প্রস্তর কয়েক বৎসর হইল বাহির হইয়াছিল। প্রস্তরে বাঙ্গালা অক্ষরে কয়েকটা কথা অঙ্কিত অাছে। তন্মধ্যে এই কয়েকটা শব্দ পড়িতে পারা যায়। তারিখের অঙ্কটা কিছু অস্পষ্ট।