পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ পুণ্ডরীককুলকীর্তৃিপঞ্জিকা পড়িয়াছিল । ১১৫১ সালে পুনরায় পুওরাকগোত্রজ নীলকণ্ঠের হস্তে আসিল । নীলকণ্ঠ বাকী রাজস্ব ও নজরাণ প্রভৃতি পরিশোধ করিয়া ফতেসিংহ অধিকার করিলেন । নীলকণ্ঠের এক ভ্রাতার নাম পরে উল্লিখিত দেখা যায়। র্তাহার এই ভ্রাতা জগন্নাথের পুত্র গঙ্গাপ্রসাদ নীলকণ্ঠের মৃত্যুর পর সম্পত্তির দাবি করিয়া নালিশ করিয়াছিলেন । নীলকণ্ঠের জীবদ্দশায় তাহার । ভ্রাতা সম্পত্তিতে অধিকার পান নাই । নীলকণ্ঠ হরিপ্রসাদের বিধবা পত্নী পাৰ্ব্বতীকে সম্মানসহকারে প্রতিপালন করিতে লাগিলেন । কয়েক বৎসর ধরিয়া উভয়ের মধ্যে কোন বিবাদ উপস্থিত হয় নাই । নবাব সিরাজদ্দৌলার সময়ে নীলকণ্ঠ বাদসাহকে নজর দিয়া রাজা উপাধি পাইলেন । রাজা উপাধির সনন্দ জেমোর রাজবাটীতে বর্তমান আছে। নীলকণ্ঠ রায়ের সম্পত্তি অধিকারের পরেও নয়নমুখ রায় সম্পত্তি দখল করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । রায়রায় চায়েন রায়ের সাহায্যে নীলকণ্ঠ নয়নমুখ ও নারায়ণ উভয় ভ্রাতাকেই কারাবদ্ধ করেন । নারায়ণের সেই অবস্থাতেই মৃত্যু হয় । নয়নমুখ আলিবদি র্থার নিকট পুনরায় অভিযোগ আনেন ; সেই সময়ে নবাব বগী লইয়া বিব্রত । অভিযোগে কোন ফল হয় নাই । নয়নমুখ নবাব মীরকাসিমের সময় আর একবার সম্পত্তি পাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । সেবারও নবাবের সহিত ইংরাজের যুদ্ধ বাধায় কোন ফল হয় নাই । হরিপ্রসাদ রায়ের পত্নী পাৰ্ব্বতী এতদিন নীলকণ্ঠের প্রদত্ত বৃত্তিতে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতেছিলেন । ১১৭২ সালে তিনি আপন স্বত্ব সাব্যস্ত করিবার চেষ্টা করিলেন । এই সময়ে বাঙ্গালার ইতিহাসে বিপ্লব ঘটিয়াছে ; মীরকাশিমের পরাভবের পর ইংরাজেরা ১৮৬৫ সালে দেওয়ানী পাইয়াছেন । পাৰ্ব্বতী কাশীমবাজারের বিখ্যাত কান্ত বাবুর সাহায্যে নীলকণ্ঠের হস্ত হইতে সম্পত্তি কাড়িয়া লইলেন। রাজা নীলকণ্ঠ রায় মুর্শিদাবাদে কারাবদ্ধ হইয়া থাকিলেন । ১১৭৫ পর্য্যন্ত রাণী পাৰ্ব্বতী সমগ্র সম্পত্তি দখল করেন ।