পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ዓን› কন্ত জন্মে। গদাধর ত্রিবেদী নবকিশোরের পুত্র বলভদ্রকে পুত্রবৎ গ্রহণ করেন ও আপন উত্তরাধিকারী নির্দিষ্ট করিয়া যান। গদাধরের উপার্জিত সম্পত্তি র্তাহার। চারি ভ্রাতা একান্নবৰ্ত্তী থাকিয়া সমান অংশে বিভাগ করিয়া লন। - গদাধরের পুত্ররূপে স্বীকৃত বলভদ্র ত্রিবেদীর সহিত রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ আপন কন্যা দয়াময়ীর বিবাহ দেন। শ্বশুরপ্রদত্ত ভূসম্পত্তি ও বাট পাইয়৷ বলভদ্র টেয়া হইতে জেমোতে আসিয়া বাস করেন । এইরূপে জেমে “নুতনবাটীর” স্থাপনা হয়। লক্ষ্মীনারায়ণের পুত্ৰ কালীনারায়ণ অতি সুপুরুষ ছিলেন । র্তাহার শরীরে অসামান্ত শক্তি ছিল । ভগিনীপতি বলভদ্রের সহিত র্তাহার অতিশয় সৌহার্দ ছিল । বলভদ্রও শারীরিক শক্তিতে নিতান্ত নুনি ছিলেন না। উভয়ের বিক্রম সম্বন্ধে অদ্ভূত গল্প প্রচলিত আছে। পত্নী জগদম্ব দেবী ও শিশুপুত্র মইীন্দ্রনারায়ণকে রাথিয়৷ কালীনারায়ণ চব্বিশ বৎসর বয়সে পিতামাতার সমক্ষে লোকান্তরিত হন । ১৩০৩ সালে আষাঢ় মাসে সীতারাম ত্রিবেদীর পুত্র হরচন্দ্রের জন্ম হয় । ছয় দিন পরে স্থতিক গৃহে হরচন্দ্রের মাতার মৃত্যু হয় । ১২০৭ সালে সীতারাম ত্ৰিবেদী ডিহি মস্তফাপুর খরিদ করেন ও তাহার সাত আন আত্মীয় গদাধরকে বিক্রয় করিয়া নয় আনা অংশ নিজে রাখেন । ১২১৩ সালের কাৰ্ত্তিক মাসের পূৰ্ব্বে কোন সময়ে গদাধরের ভ্রাতা বৈদ্যনাথের মৃত্যু হয় । বিশ্বনাথের সম্ভবতঃ ইহার পূৰ্ব্বেই মৃত্যু হইয়াছিল। ১২১৩ সালের অগ্রহায়ণ মাসে সীতারাম ত্রিবেদী শক্ৰকর্তৃক বিষপ্রয়োগে প্রাণত্যাগ করেন । এই ব্যাপারে। র্তাহার পরমাত্মীয়গণের মধ্যে কেহ কেহ লিপ্ত ছিলেন এইরূপ প্রবাদ আছে । তখন তাহার পুত্র হরচন্দ্রের বয়স দশ বৎসর মাত্র । হরচন্দ্রের পিতৃশক্রগণ র্তাহার কৰ্ম্মাধ্যক্ষত গ্রহণ করিয়া নাবালকের সর্বনাশের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । প্রথমেই র্তাহার। মাতুল গদাধরের সহিত , তাহার বিৰাদ্ধ বাধাইবার চেষ্টা করেন । গদাধরকে মস্তফাপুর হইতে বেদখল করা হয়। গদাধর নালিশ করিয়া আপনার স্বত্ব সাব্যস্ত করেন । - - হরচন্দ্র ফকীর বাবু নামে খ্যাত। জেমোর” অন্তর্গত ফকীরচক পল্লী,