পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না বলিয়া পরান দেড় মাইল পথ হাটিয়া আসিয়া কাজের ক্ষতি কৰিয়া শশীক্স কাছে বসিয়া থাকে। চওড়া সবল কঁাধ দুটি যেন তাহার শুশ্ৰান্তিতে চালু হইয়া আসে। বলে পত্র দেয় না কেন ছোটবাবু? f শশী অপরাধীর মতো বলে, কি জান পরান, চিঠিপত্র লেখা কুমুদের অভ্যাল নেই। কলেজে পড়বার সময় ওর বাবা হোস্টেলের সুপারিন্টেণ্ডেণ্টকে লিখে ওর খরার নিতেন । তাই বলে একবারটি জানাবে না কোথায় গেল, কোথায় উঠল, কি BDBLB S D BD DDDBBS DBBDuSDuD 亭 কুমুদকে মনে মনে অভিশাপ দিয়া শশী বলে, আসবে পরান, পত্র আসবে। খবর না দিয়ে পারে ? আজি হোক কাল হোক খবর একটা দেবেই ৷ পরান কেমন এক প্রকার স্তিমিত বিষন্ন দৃষ্টিতে শশীর দিকে চাহিয়া থাকে। নীরবে সে যেন কিসের নালিশ জানায়, মুক প্রাণীর মতো। শশীর অস্বস্তির সীমা থাকে না । হারু ঘোয়ের পরিবারে ভালমন্দের দায়িত্ব শশীকে কেহ দেয় নাই, তবু চিরদিন ওদের মঙ্গল করিতে চাহিয়াছে বলিয়ু আপনা হইতে * দায়িত্ব যেন তাহার জন্মিয়াছে। কিন্তু কি মঙ্গল সে করিতে পারিয়াছে ওদের ? তার দোষ নাই, তবু তারই জন্য কুসুম যেন কেমন হইয়া গেল। একটা খাপছাড়া বিপজ্জনক বিবাহ হইল মতির । হয়তো পরান আজি এসব হিসাব করিয়া দেখিতেছে, হয়তো তাদের অসমান বন্ধুত্বের ফলাফলে বিচলিত হইয়া উঠিয়াছে পরান, ভীত হইয়া ভাবিতেছে ভাল করিতে চাহিয়া আরও না জানি কত মন্দ শশী তাদের করিবে ! শশী জানে মুখ ফুটিয়া পরান কোন বিষয়ে তাহাকে, দোবী করিবে নাভুধু বিষন্ন চিন্ডিত মুখে দুর্বোধ্য-রহস্ত-দ্ৰষ্টা শিশুর মতো তার দিকে চাহিয়া থাকিবে। দীর্ঘদেহ নির্ভরশীল সরল লোকটির জন্য শশীর মন মমতায় ভরিয়া যায়। ভাবে যেমন করিয়াই হোক মার্তিকে সুখী করিতে কুমুদকে সে বাধ্য কৱিবে । মতি বদলাক, মতিকে কুমুদ যেমন খুশি গড়িয়া তুলুক-তার মুখে চোখে উপচানো সুখের সঙ্গে পরানের পরিচয় ঘটা চাই। . শুধু মতির জন্য নয়, নানা দিকে শশীর চিন্তা. বাড়িয়াছে। তার মধ্যে বিন্দুর সম্বন্ধে চিন্তাটা গুরুতর। দিন দিন বিন্দু’কেমন হুইয়া যাইতেছে। ভুলিয়া থাকিতে পাৰিবে বলিয়া প্রকাও সংসারটা চালানোর তার শশী মাসীপিসীর কবল হইতে ছিনাইয়া বিন্দুর হাতে তুলিয়া দিয়াছিল.। বিন্দু জীবনে কখনো সংসার পরিচালনা করে নাই । সে কোন ফুট গভাৱ ৰহন করিতে Y ot)