পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবে ? তা ছাড়া বিন্ধুর ভালও লাগে নাই। সব ভার সে আবার একে একে মাসী-পিশীকে ফিরাইয়া দিয়াছে। কাজ কল্পিত বিন্দুর আলস্য বোধ হয় । মানুষের সঙ্গ তাহার ভাল লাগে না । ਖité কারো সঙ্গেই সে বেশি ; বলে না, নিজের মনে চুপচাপ ঘরের কোণে বসিয়া থাকে। বসিয়া বসিয়া ঝিামায়। কত কাল অনবরত রাত জাগিয়া জাগিয়া সে যেন নিদ্রাতুরা। হইয়া আছে এমনি ভাবে সর্বদা হাই তোলে। অথচ ঘুমায় সে খুব কম । কিছু LDGS EDDLL uu S D BDD DDLYS BB DLDDD DDLLLLSS LD DDBDB uBJY LB DDL BBDD DBDBSS শশী ভাক্তার মানুষ, বিন্দুকে নিজের ঘরে ডাকিয়া লইয়া সে জিভ স্থাখে, হাট পরীক্ষা করে, শৰীরের অবস্থা সম্বন্ধে জেরা করে । তারপর সন্দিগ্ধ ভাবে মাথা নাড়িয়া বলে, কিছু বুঝতে পারলাম না বাপু । গায়ের ডাক্তার, ces তো বিদ্যে নেই তেমন ! একটা ওষুধ দিচ্ছি, কদিন খা, তারপর আবার পরীক্ষা করে দেখব । বিন্দু ব্ললে, উহু, ওষুধ আমি খাব না ! শশী বলে, খাবি। মুখ দিয়ে না খাস, গা ফুড়ে দেৱ। বাপের বাড়ি এসে তুই যদি মরে যাস বিন্দু আমি থাকতে, আমার তাতে কি অপমান হবে दव्न विकेि ? বিন্দু কঁাদিয়া ফেলে। কঁদিতে কঁাদিতেই বলে, কি করব দাদা, মনে বল পাই না, দিনরাত হুহু করে জলে মনের মধ্যে । শশী বলে, কঁাদিস না । আমার ওষুধ খেলেই মন ভাল হয়ে যাবে। - বিন্দুর রোগ-নির্ণয় করা শশীর অসাধ্য মনে হয়। মনের মধ্যে निद्मiङ छछ করিয়া জলে ? কার জন্য জ্বলে, কেন ? জীবনটা ব্যর্থ হইয়া গেল বলিয়া মানুষ কি শোকে এমন নিজীবী মৃতপ্ৰায় হইয়া যায় ? নন্দর প্রতি তীব্ৰ বিদ্বেষই তো বিন্দুকে দুদিন সুস্থ ও সবল করিয়া তোলার পক্ষে যথেষ্ট । বিদ্বেষ যদি নাও হয়, আকাশ ছোয়া অভিমান বিন্দুকে নব-জীবন দিতেছে না কেন ?” নন্দ ক্ষমা করবে। এই আশায় অতগুলি বছর বিন্দু যে অবস্থায় কাটাইয়া আসিয়াছে তাহাতে যদি আজি নন্দর জন্যই বিন্দুর মন হাহাকার করে শশী তাহাতে বিস্মিত হইবে না। সংসারে এ রকম অদ্ভুত মেয়ে দু-চারটা থাকে। কিন্তু নন্দর জন্য মন কেমন করিলে বিন্দুর তো উচিত অস্থির চঞ্চল হইয়া থাকা, কাজ ও আকাজের ভানে ছটফট করা। এমন সে অল’স ও অৰসন্ন হুইয়া আসিবে কেন,-তৈলহীন প্ৰদীপের মতো কেন সে নিভিয়া যাইতে থাকিবে ? S a