পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখের দাগ মিলাইয়া দিবার ওষুধও তাহাকে শশীর দিতে হয় । দুদিন না। যাইতেই আসিয়া নালিশ জানায়, কই দাগ তো শশী মিলিয়ে যাচ্ছে না একটুও ? কি রকম ওষুধ দিছে? .م هاكية শশী ক্লান্ত স্বরে বলে, যাবে সেনদিদি যাবে, বসন্তের দাগ কি এত শীগগির যায় ? যত দিন যায়, গ্ৰাম ছাড়িয়া নূতন জগতে নূতন করিয়া জীবন আরম্ভ করিবার কল্পনা শশীর মনে জোরালো হইয়া আসে। সে বুঝিতে পারিয়াছে জোৱা করিয়া না গেলে সে কোনদিন এই সঙ্কীর্ণ আবেষ্টনী হইতে মুক্তি পাইবে না । ভবিষ্যতের জন্য স্থগিত রাখিয়া চলিতে থাকিলে জীবন শেষ । হইয়া আসিবে, তনু নাগাল মিলিবে না। ভবিষ্যতের। তা ছাড়া, জীবনে যে বিপুল ও মনোরম সমারোহ সে আনিতে চায় তাহা সম্ভব করিতে হইলে শুধু গ্ৰাম ছাড়িয়া গেলেই তাহার। চলিবে না, আত্মীয়বন্ধু সকলের সঙ্গে মনের সম্পর্কও তাঁহাকে ভুলিতে হইবে। এদের সীমাবদ্ধ সঙ্কীর্ণ জীবনের সুখদুঃখের ঢেউ যদি তাকে নদীর বুকে মোচার খোলার মতো আন্দোলিত করে, নূতন জীবনকে গড়িয়া তুলিবার শক্তি সে পাইবে কেন ? সে আবেষ্টনীতে যেSLTLD Y DLLeL HDS YDDBS DDuD SDDD SYDBD BBB DBBBD qqq0 বিপ্লব তাকে আনিতে হইবে এক, তারপর নবসৃষ্ট জগতে বাস করিতে হইবে একা-সেখানে তো এদের স্থান নাই । ‘বিন্দুর কথা ভাবিয়া সে যদি কাতর হুইয়া থাকে, কুসুম গোপনে কঁদে কি না, আর মতি কোথায় গেলুঃ তাই ভাবে সর্বদ, সিন্ধুবে মনের মতো করিয়া গড়িয়া তুলিতে পারিল না। ভাৰিম ক্ষোভ করে, নিজের জীবনকে সে গুছাইবে কখন, কখন করিবে: নিজের কাজ ? যাদের সাহচৰ্য অশাস্তিকর, যাদের সে কাছে চায় না, জীবনের সাৰ্থকতা আনিতে হইলে নির্মমভাবে মন হইতে তাদের সরাইয়া দিতে হইবে। যাদব বলেন, তা হবে না। দাদা ? বিরাগী হতে হলে মনে বিরাগ চাই । বাইশ বছর বয়সে এ গায়ে এসে বাসা বঁধলাম, কেউ জানে না কোথা থেকে এলাম, কি বৃত্তান্ত । আমার সব ছিল শশী, বাড়িম্বন্ধু আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, চলিশ বছর কারো খবর রাখি না । বাপ মা মরেছে, খবরও পাইনি, শ্ৰাদ্ধও করিনি ৷ ভাইবোন ছিল গোটাকতক, আছে না গেছে তাও জানি না । সে জঙ্গ দুঃখও নেই শশী । নতুন ঘর বাধতে হলে পুরোনো খড়কুটো বাদ দিতে হৰে না ? A) R 3