পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

re-se বিশ্বাস হয় না, তবু শশীর মনের • আড়ালে লুকানো গ্ৰাম্য কুসংস্কারনাড়া খাইয়াছে ৷ এক এক সময় তাহার মনে হয়, হয়ত আছে, ţa যুক্তির অতিরিক্ত কিছু হয়তো আছে জগতে, যাদব। আর যাদবের মতো LDBDBB DBD BDD S SDJDBB S SDD S B SBDBDD সুসিয়া যে যাদবের পায়ে লুটাইয়া পড়িতেছে, এদের সকলেরই বিশ্বাস কি মিথ্যা ? সাধারণ মানুষের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু যদি নাই থাকে যাদবের মধ্যে, এতগুলি লোক কি অকারণে এমনি পাগল হইয়া উঠিয়াছে ? দশ-বার ক্রোশ দূরবর্তী গ্ৰাম হইতে সপরিবারে গৃহস্থ আসিয়াচ্ছে, বাস বঁাধিয়া আছে গাছতলায় । কত নরনারীর চোখে শশী জল পড়িতে দেখিয়াছে। কায়েতপাড়ার পথে নামিয়া দাড়াইলেই মনে হয়। এ যেন তীর্থ। সকল বয়সেক্স যে সমস্ত নরনারী এদিক *ওদিক বিচরণ করিতেছে, প্রাত্যহিক জীবনেব হিংসা দ্বেষ স্বার্থপরতার সঞ্চিত গ্লানি তারা পিছনে ফেলিয়া আসিয়াছে, ভুলিয়া গিয়াছে পার্থিব সুখের কামনা, লাভের হিসাব। হয়তো সাময়িক, ফিরিয়া গিয়া সম্পূৰ্ণ জীবনের কদৰ্যতায় আবার সকলে মুখ গুজিয়া দিবে, তবুওদের মুখের উৎসুক একাগ্ৰতা আজ তো মুগ্ধকরিয়া দেয়। সকলে যাদবকে লইয়া ব্যাপৃত থাকায় শশীর সঙ্গে দেখা করার সুবিধা হইয়াছে কুসুমের । সে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলে, মুখ এত শুকনো কেন? মনটা ভাল নেই বেৰী । ওমা, কি হল মনের ? শশী বিরক্ত হইয়া বলে, তোমার কাছে অত কৈফিয়ত দিতে পারব না বেৰী । কুসুম সগর্বে মাথা তুলিয়া বলে, কৈফিয়ত কেউ চায়নি। আপনার কাছে । মুখ শুকনো দেখে মায়া হল, তাই জানতে এলাম অস্কখ-বিসুখ হয়েছে না। কি । সংসারে জানেন, ছোটবাবু, যেচে মায়া করতে গেলে পদে পদে আগমন হতে হয় । আমি এদিকে চলে যাচ্ছি বাপের বাড়ি, কৈফিয়ত চাইব । শশী নরম হইয়া বলে, গায়ে এতবড় ব্যাপার ঘটছে, দেখা হলে ও বিষয়ে তুমি কিছুই বল না,-শুধু আমার আর তোমার নিজের কথা । বুলবার কি আৰু কথা নেই জগতে ? সেনাই ? ক’ত আজে বাজে কথা আছে সীমা নেই তার । কুসুম হাসে । শশী বলে, হালকা ভাবটা একটু কমাও বেী । ܕܗܐܕ ܠ” বাপের বাড়ি যাবে তো শুনছি ঢের দিন থেকে, যাওয়া তো হর না । কুসুম সপ্ৰতিভা ভাবেই বলে, যেতে যে পারি না । où \96R