পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুমুদ বলিল, তা হলেই সর্বনাশ মতি । মতি ব্যাকুলভাবে বলিল, র্কিসের সর্বনাশ ? কি হয়েছে ? বল না ক” এর আমায় ? মাথা-ট্যাথা ঘুরতে লেগেছে বাৰু আমার। কুমুদ বলিল, পরে বুঝিয়ে বলব মতি, “ভাল করে আমি নিজেই বুঝতে পারছি না কিছু ! কি বিশ্ৰী গরম পড়েছে দেখছ? বাতাস করা-দিকি একটু । মতি আজি অত্যন্ত বিচলিত হইয়া পড়িয়াছিল, নতুবা বাতাস করিবার জন্য বুলিতে হুইত না । ঠাণ্ডা হইয়া কুমুদ স্নান করিতে গেল। খাওয়া-দাওয়ার পর সটান বিছানায় চিত হইয়া আয়োজন করিল ঘুমের। --মতি বলিল, দিদিকে

  • ভ্যাকবে না একবার ?

এখন ? রেগে দরজা দিয়ে আছে, ‘কে এখন ওকে ঘাটাতে যাবে বাবা। মারতে আসবে আমাকে। যাও, খেয়ে এস। স্বান করিয়া মতি সবে খাইতে বসিয়াছে, জয়া দরজা খুলিয়া বাহিরে আসিল । রান্নাঘরে ঢুকিয়া কলসী হইতে এক গেলাস জলে গড়াইয়া খাইল । মাতি ভয়ে ভয়ে বলিল, তোমাদের ঝগড়া ভুল কেন দিদি ?

  • - জয়া বলিল, তুই ছেলেমানুষের মতোই থাকি না মতি’ ’

তারপর জিয়া মতির ঘরে প্রবেশ করিল। মতির আর খাওয়া হইল। না । উঠিতে ভয় করে, থালার সামনে থাকা ও অসম্ভৰ । কৌতুহল মুক্তি দমন করিতে পারিল না । উঠিয়া গিয়া দরজার বাহিরে দাড়াইয়া - कृईिल । জয়া বলিতেছিল, কুমুদ, এখানে তোমাদের আর থাকা হবে না। একশো টাকা মাইনে পাও, অন্য কোথাও থাক গিয়ে, হুবিধামতো বাড়ি টাড়ি আজকালের মধ্যেই দেখে নাও একটা । • • • পুকুমুদ বিছানায় উঠিয়া বসিয়াছিল, বলিল, বোসো না জয় । বসে কি হল ܣܛܔ ফুটবল সব। এ জয়া চেয়ারটাভে বসিল, বলিল, বলাবলিতে লাভ নেই কুমুদ । তোমরা 苓· না গেলে, আমরা চলে শিব। কালের মধ্যেই যাব । কুমুদ শাস্তভাবে বলিল, বেশ তো, আমরাই উঠে যােব কাল। সেটা । “ কিছুই কঠিন নয়। কিন্তু কি হয়েছেঃ আমাকে না বললে সে কোম্ব-দেশী কথা হবে ? তোমাকে বলতে বাধা নেই কুমুদ। না বলে পারবও না। এগুন শুনৰে ? শোন! বুকুৰে কি-না জ্বানি না। কুমুদ । তিমি তো জানি আমি Abro