পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• বলিয়া জয়া যেন হঠাৎ আশ্চর্ষ হইয়া গেল এণ্ঠ-কি ভাবলে তুমি ? কি ভেবে ওকথা বলত্রে ? তুমি নিশ্চয় জানি কুমুদ, ওভাবে আমাকে তুমি কোন দিন টানতে পার নি ? ওরকম আকর্ষণ আমার কাছে তোমার কোন দিন ছিল না ? কুমুদ একটু অপ্রতিত হইয়া বুলিল, তা জানি। সেরকম ইঙ্গিত করি নি জয় । আমরা এসে তোমার ঘর ভেঙে দিয়ে গেলাম, তাই বলছিলাম চলে গেলেও আমাদের স্মৃতি তোমার অসহ্য ঠেকবে । ” জয় ক্ষীশভাবে একটু হাসিয়া বলিল, কি চমৎকার তুমি বলতে পার কুমুদ !-ও মতি আয় ঘরে আয় । শোন যত পারিস, এসব কথা তুই বুঝবি a আমরা একেলে-ধারা মানুষ কত হেঁয়ালিই করি। আবার বাড়ি বদলের झाक्रबिा ? জয়া তাদের এখানে থাকিতে দিবে না ? না দিক । ভালই। নতুন বাড়িতে তারা সুখেই থাকিবে। রাগে মতি মুখ ভার করিয়া থাকে। কিসে কি হইল বেচারী এখনো তা বুঝিতে পারে নাই, কুমুদের ব্যাখ্যা করার পরেও নয়। জয়াকে সে শোনায়, कि অপরাধ করেছিলাম ঘা বা তোমার কাছে তুমিই জান, ভালো করলে না। দিদি, তাড়িয়ে দিয়ে ভাল করলে না । মনে রাখব। বলব সবাইকে । কি বলবি ? তুমি কি রকম ভীষণ মানুষ তাই বলব, তোমার মনে এক, মুখে আর । কত ভালবাসাই দেখাতে ! গেল কোথায় সে সব ? আমিও শক্ত মেয়ে আছি, নামটি যদি মুখে আনি তো মুখে যেন পোকা পড়ে। নাম মুখে না। আনলে সবাইকে বলবি কি করে ? মতি কঁাদ কঁাদ হুইয়া যায়। আর কথা বলে না । বনবিহারী বিকালেই ফিরিয়া আসিয়াছিল, গভীর বিষন্ন বনবিহাৰী । মুক্তি দেখিল, সকালবেলার কাণ্ডে ওদের কথাবার্তা বন্ধ হয় নাই। বনবিহাৰী খাওয়া-দাওয়া করিল, জয়াকে কয়েকটা টাকাও দিল। তবে দুজনের মধ্যে R অপরিচয়ের ব্যবধান আসিয়াছে, বড় মন-মরা দুজনে। কোথায় ৰাইেলা ঠিক করিয়া সন্ধ্যার সময় কুমুদ ফিরিয়া আসিল । মতি। ‘বলিল, থিয়েটাবে যাবে। না। আজ ? কুমুদ বলিল, না । ” পরদিন সকালে গাড়ি ভাকিয়া জিনিষপত্র তোলা হইল। জয়া কেৰল একবার বলিল যে স্থপুরে খাওয়া দাওয়া করিয়া গেলে ভাল হইত ৰূ? বনবিহারী কিছুই বলিল না। জয়ার কাছে বিদায় না লইয়াই মতি গটগষ্ট StrV)