পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাজিবে । মতির কি হইবে ? সে থাকবে কোথায় ? কার কাছে ? এ কঙ্ক সহজ। সমস্যার কথা নয় । কিন্তু মতির কোন ভাবনা-চিন্তা আছে বলিয়া মনে হয় না । আনন্দের যে মাদকতায় সে মশগুল হইয়া আছে, ভাবনা-চিন্তার ক্ষমতাও যেন তাহাতে ক্ৰমেই লোপ পাইয়া আসিয়াছে। কুমুদ শেষে কথা তুলিল। বলিল, আমি এখন যাত্রা করতে যাব, তুমি কোথায় থাকবে মতি ? মতি ঘাড় কাত করিয়া বলিল, তুমিই বল না ? গাওদিয়া যাবে ? গাওদিয়া ?’ মতির যেন চমক লাগে। গাওদিয়ার কথা মন হইতে মুছিয়া ফেলিবার আদেশ যে দিয়াছিল, সে আবার যাচিয়া সেখানে যাওয়ার কথা বলিতেছে। কুমুদের চোখে মতি চোখ মেলায়। কি খোজে মতি কুমুদের চোখে ?-পলকে কুমুদ খোলস বদলায়, আজ যা বলে কাল তা বাতিল করিয়া দেয়, তবু কি তার মধ্যে এমন একটা অপরিবর্তনীয়তা থাকা সম্ভব যার মৌলিকতা মতির মতো মেয়েকেও বিহবল করিয়া দেয় । গাওদিয়া যেতে বলছি ?

  • গুতাই থাকা গিয়ে কি মাস। আমি এদিকটা একটু গুছিয়ে নি

i "T কি গুছোবে ? কুমুদ গভীরভাবে বলে, দলটিা গড়ে তুলিব, টাকা পয়সা জমাব, সবই তো গুছোতে বাকি । খুবই স্ববিবেচনার কথা । তবু শুনিয়া মতির যেন কষ্ট হয়। এ ধরণের কৃথা কি মানায় কুমুদের মুখে ? তিন মাস আগেও হয়তো কুমুদকে হিসাৰী বিবেচক দেখিলে মতি খুশী হইত। এখন আর সে তা চায় না । তেমনি কুমুদই তার ভাল, যে বড় বড় কথা বলে, কাজের বদলে শুইয়া থাকে, ভালবাসে তবু পা ফুটপায়। ...” কুমুদ বলে, এসে নিয়ে যাবার জন্য তোমার দাদাকে একখানা চিঠি লিখে ffe AfTS তুমি লেখ না ? না, তুমিই লেখ । ר “মতি গভীর মুখে বলে, তুমি তবে ঠিকানা লিখে দিও, আঁ্যা ? 0 : মতির এই চিঠির জবাবে পরান ও শশী দুজনেই কলিকাতা আসিল । শশীর আগমনটা শুধ মতিকে দেখিবার জন্য নয়. কাজ ছিল। কুমদকে শশী