পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক কথা বলিবে ভাবিয়াছিল, কিছুই বলা হইল না। মতিকে দেখিয়া সে बांकJश्रांद्रा হইয়া গেল । এই মতি কি "তার চোখের সামনে বড় হইয়াছিল। গাওদিয়ার গ্ৰাম্য আবহাওয়ায় ? এ যেন শশীর অচেনা মেয়ে, অজানা জগতে এতকাল বাস করিয়া আজ প্রথম তার সামনে আসিয়া দাড়াইয়াছে। ফ্যালফ্যাল করিয়া হবার মতো যে চাহিয়া থাকিত, জলে-ধোয় আলোর মতো কি BBBDBD DDLD D qKB S SBDBD SYLDt DBBD BBDBDSBBB S DBD qLuBDB ভঙ্গিমা ! মতির অঙ্গুলি-হেলনও আজ যেন মধু অর্থমন্ত্র । মনে হয়, তার দেহ-মন যেন অহরহ করে আকর্ষণ ও আহবানের জন্য প্রতিটি মুহুর্ত উদ্যত, উৎকৰ্ণ হইয়া আছে । কুমুদ একান্তে বলিল, কি রকম দেখছিস শশী মতিকে ? ওকে তুই কি করেছিস কুমুদ ? কিছুই করিনি । শুধু কথা বলেছি আর চুৰ ।। ২৮০ x ১০২৩ + 1 < । বিন্দুর ও পরিবর্তন হইয়াছিল, এ ও পরিবর্তন । শশী ভাবিত হইয়া বলিল, গাওদিয়া পাঠাচ্ছিাস, সেখানে থাকতে পারবে কি-না ভাবছি কুমুদ । এ তোর কি রকম ভাবনা শুনি ? গাওদিয়ায় বড় হল সেখানে গিয়ে থাকতে পারবে না ? বিন্দুও গাওদিয়ায় বড় হইয়াছিল, সেখানে গিয়া থাকিতে পারে নাই । কিন্তু শশী আর কিছু বলিল না। সারাদিন সে বিমনা হইয়া রহিল। মতির চোখে যখন বিদ্যুৎ চমকিয়া যায় কুসুমের চোখের সঙ্গে তখন সে তুলনা করে । এ আলো তাহার চোখে নাই। কুমুদের কাছে আজ আবার নিজেকে শশীর ছোট মনে হইতে থাকে । মতির সুখে আনন্দে উজ্জল মুখচ্ছবি, মতির পুলকমন্থর গতিশ্ৰী দুখিয়া মাঝখানে কুমুদের সম্বন্ধে যতটুকু অবজ্ঞা মনে আসিয়াছিল সব যেন আজি মুছিয়া যায়। কুমুদের জীবনের যা মূলমন্ত্র তার সন্ধান শশী কখনো পায় নাই ; আজি ওই বিষয়েই শশী চিন্তা করে । কি আছে কুমুদের মধ্যে দুর্বোধ্য গোপন সম্পদ, জীবনকে আগাগোড়া ফাকি দেওয়া সত্ত্বেও যাহা জীবনকে তাহার ঐশ্বৰ্যে ভরিয়া রাখিয়াছে ? এতকাল খবর না দেওয়ার জন্য পরান ও শশীর কাছে মতি প্ৰথমটো একটু সঙ্কোচ বোধ করিতেছিল, ও বিষয়ে কেহ অনুযোগ না দেওয়ায় অল্পক্ষেণের মধ্যেই সে কথাটা ভুলিয়া গেল। পরান খুব রোগ হইয়া গিয়াছে, তাহার বিষন্ন শুক মুখ দেখিয়া বড় মমতা হইতে লাগিল। বার বার সে YbrGS9