পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপাল সািভয়ে জিজ্ঞাসা कटब, হঁ্যা রে শশী, তোর তো অসুখ-বিসুখ হয়। नेि दांचा ?' শশী বলে, না । e না হলেই ভাল। একটু সাবধানে থাকিস এসময় । শশী ডাক্তারকে গোপাল বলে সাবধানে থাকিতে ! বলে সবিনয়ে কৃপা প্রার্থীর মতো । হয়তো গোপালের বলিবার কথা। ওটা নয় । শরীর মান, বিষন্ন মুখ দেখিয়া হয়তো গোপালের হৃদপিণ্ডটা ধড়াস ধাড়াস করে, সেই শব্দটা পৌছাইয়া দিতে চায় শশীর কানে। আর তো ছেলে নাই গোপালের, শুধু শশী । বাজিতপুরে কি কাজ ছিল শশীর কে জানে, গ্রামের অসংখ্য কাজ ফেলিয়া হঠাৎ সে বাজিতপুরে চলিয়া যায়। সিনিয়ার উকিল রামতারণের বাড়িতে একটি দিন চুপচাপ কাটাইয়া দেয়, তারপর যায় সরকারী ডাক্তারের বাড়ি । সরকারী ডাক্তারের সঙ্গে শশীর সম্প্রতি খুব ঘনিষ্ঠত হইয়াছিল, বাড়িতে অতিথি হওয়ায় এবার ভদ্রলোকের ক্ষীণাঙ্গিনী, এক স্বামী ও দুই ছেলের সংসার লইয়া বিশেষরূপে বিব্রত স্ত্রীর সঙ্গে ও আলাপ-পরিচয় হইল । মানসিক বিপর্যয়ের সময় সংসারে এক-একটি তুচ্ছ মানুষের কাছে আশ্চৰ্য সাত্বনা মেলে। কাজে অপটু, কথা বলিতে অপটু, ভীরু ও নিরীহ এই মহিলাটি আতি অল্প সময়ের মধ্যে শশীকে যেন কিনিয়া ফেলিল । চা দিতে চা উছলাইয়া পড়িতেছে, ছেলে ধরিতে আঁচল খসিতেছে, আঁচল তুলিতে ছড়াইয়া পড়িতেছে চুল, তাড়াতাড়ি ঘরের বাহিরে যাইতে চৌকাটে হেঁচটও লাগিল । , থাকিয়া থাকিয়া বলে, আর পারি না বাবা ! সত্যই পারে না। তবু জোড়াতালি দিয়া কোন রকমে সবই সে করে। সে ਗੁ अiएट्रांन'e coigस्त्र नi, नद ত্রুটি-বিচূতি । তার প্রকাশ্য ! এক ঘণ্টার মধ্যে মানুষের কাছে নিজের স্বরূপ মেলিয়া ধরে বলিয়াই বোধ হয় তাকে তার স্বামীর ও ভাল লাগে, শশীর ও লাগিল ! সুশীলা নাম । শশীকে কুলশীলের পরিচয় দিয়া বলিল, আমার মামাবাড়ি তেইশগাছা, আমাদের গা থেকে ছ। মাইল,-মামাকে চেনেন ? হরিশ্চন্দ্র নিয়োগী। আমি মামাবাড়ি গেছি সেই কোন ছেলেবেলায়-আর এই এবার এখানে এসে একবার। আমার বাবা মুন্সেফ ছিলেন কি-না, সঙ্গে এখানে "ওখানে ঘুরে বেড়াতাম । 槛 এখন কর্তার সঙ্গে বেড়ান। ।