পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ি ফিরিয়া শশী বুঝিতে পারে - কল্পনায় এমন কতকগুলি স্তর আছে, DBB BDD ggBKB DB DBgBDS DDBB BD KDDBDBDD DD S LBDBDS একটা ঘটনা যেন চাবির মতো মনের এক-একটা দুয়ার খুলিয়া দেয়, যে দুয়ার ছিল বলিয়াও মানুষ জানিত না। এত বড় বড় কল্পনা শশীর, এত বিরাট ও ব্যাপক সব মনোবাসনা, একদিনে সব যেন পৃথক অনাবশ্যক হইয়া গেল, শিশুর মনের বড় বড় ইচ্ছাগুলি যৌবনে যেমন যায়। রবার বসানো চাকা-যুক্ত গাদিআঁটা ঠেলাগাড়িতে চাপার জন্য ছেলেবেলা কত কঁাদিয়াছিল শশী, কলিকাতায় মোটর ইকাইবার সাধ আজ তারি। পৰ্যায়ে ” গিয়া পড়িয়াছে । গ্রাম ছাড়িয়া কোথায় যাইবে শশী ? কি আছে গ্রামের বাহিরে শশীর যা মনোহরণ করিতে পরিবে ? একটা প্ৰকাণ্ড জড় পৃথিবী, অসংখ্য অচেনা মানুষ । কি পাইবে শশীয় সেখানে ? * ‘কুসুমের কথাগুলির অন্তরালে যত অর্থ ছিল ক্ৰমে ক্ৰমে শশী তা পরিষ্কার বুঝিতে পারে। একদিন দুদিন নয়, অনেকগুলি সুদীর্ঘ বৎসর ব্যাপিয়া তার জন্ম কুসুম পাগল হইয়া ছিল, তারপর ক্ৰমে ক্রমে তার সে উন্মাদ ভালবাসা নিজীবি হইয়া *াসিয়াছে হয়তো মরিয়াই গিয়াছে ! কে বলিতে পারে ? আজ এ ঘটনা শশীর কাছে যত ভয়ানক মনে হোক এই পরিণতিই তো अiडविक । গায়ের মেয়ে ঘরের বৌ কুহুম, মনোবাসনা কতদূর অদম্য হইয়া ওঠায় দিনের পর দিন নৈবেদ্যের মতো নিজেকে শশীর কাছে সে নিবেদন করিয়া চলিয়ছিল এখন শশী তা বুঝিতে পারে, কুসুমের আমন ভয়ানক উপবাসী ভালবাসা যে এতকাল সতেজে বাচিয়া ছিল, তাই তো কল্পনাতীতরূপে বিস্ময়কৱ । আপনা হইতেই যে প্ৰেম জাগিয়াছিল, আপনা হইতে স্বাভাবিক নিয়মে আবার তৃণ লয় পাইয়াছে ১৮ শশীকে না দেখিয়া এখন কুসুমের দিন কাটিবে, শশীকে বাদ দিয়া কাটিবে জীবন । কুহুমের পরিবর্তনে আশ্চর্য শশী তাই হয় না। ঘরে আগুন লাগিলে আগুন নেভে-বাহিরেরও, মনেরও । কুসুমের মনের আগুন কেন চিরদিন জলিবে ? নিজের ব্যাকুলত শশীকে অবাক করিয়া রাখে । যখনি মনে হয় তার আর কিছুই করিবার নাই, জীবনে যতবড় অসম্ভবকে সম্ভব করিতে পারুক, কুসুমকে আর কোন দিন সে ভালবাসাইতে পরিবে না ; কন্টে- শশী ছটফট করে । ফুটিয়া ঝরিয়া গিয়াছে, কুসুম মরিয়া গিয়াছে,-তারই চোখের সামনে তারই অন্যমনস্ক মনের প্রান্তে । কি ছেলেখেলায় সে মাতিয়াছিল যে এমন ব্যাপার ঘটিতে দিল ! r SR Swe