পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেখেলাগুলি সবই বর্তমান অাছে। হাসপাতালে গেল শশী, নাড়ি । টিপিয়া হৃৎস্পন্দন শুনিয়া ওষুধ লিখিয়া দিল,-ফোড়াও কাটিল একটা । সাতগাঁয়ে রোগীও দেখিতে যাইতে হইল। কতকাল এসব কর্তব্য শশী BDBBBDDDS BD BB BDD S DDLDDSS DBDDDDKTB DB BD D S BBDBB কুসুমের কথা ভাবিতে ভাবিতে নাড়ী টিপিতে কেহ তো তাহাকে বারণ করে নাই, এত রাগ কেন শশীর, মরণাপন্ন রোগীকে এমন ধমীরু দেওয়া কেন ? কী আপসোস আজ শশীর মনে, কি আত্মধিকার ! কারো তা” বুঝিবার নয় । ধরিতে গেলে একদিক দিয়া এতো ভালই হইয়াছে শশী ? ঘরের বৌ শুদ্ধ ও পবিত্ৰ ভাবে ঘরেই রহিয়া গিয়াছে, রক্ষা পাইয়াছে নীতি ও ধর্ম । সত্যই এটুিকু দিয়া শশীর একটু ভাল লাগা উচিত ছিল। ভালমন্দের অনেক দিনের পুরনো এসব সংস্কার তার আছে। বইকি, তবু, একবারও শশীর মনে হইল না। একদিন অনেক ভণিতা করিয়া কুসুমকে যে কথাগুলি বুঝিয়া বলিতে গিয়াছিল আজ প্ৰকারান্তরে তাই ঘটিয়াছে-শাস্তি মনে বুঝিয়া শুনিয়া চারিদিকে বিবেচনা করিয়া কুকুমকে সে যে আত্মসংযম অভ্যাস করিতে বলিয়াছিল, কিছু না বুঝিয়া শুনিয়াই কুসুম এখন অনায়াসে তা পালন করিতে পরিবে । পরদিন সকালে কুসুমকে এ বাড়িতে দেখা গেল । মেয়েদের কাছে বিদায় লইতে আসিয়াছে। আর কেহ হইলে হয়তো ভাবিয়া বসিঁত এ তার শশীকে দেখিতে আসার ছিল, শশী তা ভাবিল না । নিজের পক্ষে, স্ববিধাজনক ভাবনাগুলিকে শশী চিরকাল ভয়ানক সন্দেহের সঙ্গে বিচার করে ; তবু সে করিল কি, বাহিরে দাড়াইয়া থাকার বদলে নিজের ঘরে গিয়া সকলে কি ভাবিবে না ভাবিবে। একেবারে অগ্ৰাহ কুরিয়া ডাকিল, * পরানের বৌ, একবার শোন । কুসুম ঘৱে আসিয়া বলিল, বিদায় নিতে এলাম ছোটবাবু। দোষটোষ যা করেছি মনে রাখবেন নাকি ? শশী বলিল, রাখিব না ? দোষগুণ, ভালমন্দ, তোমার সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তুচ্ছ কথাটি পৰ্যন্ত কোন দিন ভুলতে পারব না বেৰী । কালের চেয়ে শশীর আজকের প্ৰেম-নিবেদন ঢের বেশি স্পষ্ট । যেমন বলিল তেমনভাবে শশী যদি কুসুমকে মনে রাখে। তবে সত্যসত্যই কি গভীর ভাবে কুসুমকে সে ভালবাসে? - কুসুম তাই কঁাদ-কঁাদ হইয়া বলিল, এমন করে বললে আমার যে পায়। ভারী হয়ে যায় ছোটবাবু ? R Y e o