পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ् द्रांश् छ्द्म् ि। গোড়ায় বুঝি ধরতে পার নি ? গোড়াতেই ধরেছিলাম । তবে মরাল যে ? এ প্রশ্নে শশী হঠাৎ রাগিয়া গেল । বলিল, গোড়ায়, রোগ ধরতে পারলেও भाइच भgद्म । গোপাল বলিল, ইনজেকশন দুটো আগে দাওন বলে হয়৩ো এটুকু বলিয়া উৎসুকীভাবে গোপাল খানিকক্ষণ শশীর মস্তব্যের প্রতীক্ষা করিয়া রহিল । কি সত্য সে নির্ণয় করিতে চায় কে জানে-শশী একেবারে স্তম্ভিত হইয়া যায়। খুটিয়া খুটিয়া তার চিকিৎসার আগাগোড়াই হয়তো গোপাল জানিয়া লইয়াছে। কি ভাবিয়াছে গোপাল ? চিকিৎসক-পুত্রের সম্বন্ধে কি অকথ্য ভাবনা তার মনে আসিয়াছে ? মুখখানা লাল হইয়া যায় শশীর । কিছু বলিতে ভরসা পায় না । রুপান্নাথ, বলছিল সময়মত দু-এক দানা মৃগনাভি দিলে— শশী এবার নীরবে উঠিয়া চলিয়া গেল । রাগও হয়, মমতাও বোধ করে শশী । বিষয়ী, সংসারী, প্রৌঢ়বয়সী মানুষ, তার এ কি ছেলেমানুষি ! কুন্দ জিজ্ঞাসা করে, মামার কি হয়েছে, শশীদাদা ? একটু স্নেহৰ ঠাকুল সুরেই জিজ্ঞাসা করে । কুন্দর ছেলেটির বড় কঠিন অসুখ হইয়াছিল। অনেক চেষ্টায় শশী তাকে ভাল করিয়া তুলিয়াছে। পাকা দালানে একখানা ঘরও দেওয়া হইয়াছে কুন্দকে, আর দেওয়া হইয়াছে সংসার-পরিচালনার কিছু কিছু দায়িত্ব। মুখরা কুন্দ একেবারে বদলাইয়া গিয়াছে। কত সামান্য কামনা থাকে এক-একটি স্ত্রীলোকের, যার অভাবে স্বভাবটি হইয়া’ওঠে হিংস্ৰ খিটখিটে ! শশীরও আজকাল মনে হয়, না, কুন্দর প্রকৃতি তেমন মন্দ নয়, মোটামুটি ভালই মেয়েটা । নিজের কাজের চাপে আজকাল আর বেশি নজর দিবার সময় পায় না, কুন্দ যে সিন্ধুকে বেশ যত্ন-টত্ব করে তাতে শশী আরও খুশী হয় । কুন্দর প্রশ্নের জবাবে সে বলে, আমি জানি না। কুন্দ । কুন্দ বলে, আপনি বিয়ে-টিয়ে করবেন না, কাল আমার কাছে বড় দুঃখ क दृध्विनि । শশী বলে, বাবা দুঃখ করছিলেন, না তুই বাবার কাছে দুঃখ করছিলি ? কুন্দ একটু হাসিয়া বলে আমরা দু’জনেই করছিলাম । শশী অবাক হইয়া তাকায় কুন্দর দিকে । এমন খাপসই আলাপ কুন্দ R R R S-3e