পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনাথ দাসের মুী দোকানের সামনে বঁাশের বাতায় "ঙ্ক্ষ্মৈী বসিয়া কয়েকজন জটিলা, করিতেছিল। ८वांक्ष श्ब्र शृंrझ it. থাকায় বাস্থদেবের সঙ্গে যাওয়ার সময় শশীকে তাহারা দেখিতে পায় নাই৷ ” এলার শ্ৰীনাথ দেখিতে পাইয়া ভাকিয়া বলিল, একটু বসে যান। ছোটবায়ু-টুলটা ছাড় দেখি নিয়োগীমশায়, ছোটবাবুকে বসতে দাও । * , , পঞ্চানন চক্রবর্তী জিজ্ঞাসা করিল, কোথায় গিয়েছিলো, শশী ? শশী বলিল, বাসুদেব বাড়ুজ্যের বাড়ি, ভুতো এইমাত্ৰ মায়া গেল। : বটে ? বঁাচল না বুঝি ছেলেটা ? তবে তোমাকে বলিউশান শশী, ভুতো যেদিন পড়ল আছাড় খেয়ে, দিনটা ছিল বিযুদবার । খবর পেই মনে কেমন খটকা বাধল। বাড়ি গিয়ে দেখলাম পাঁজি,—যা ভেবেছিলাম ছেলেটাও পড়েছে, বারবেলাও. হয়েছে খতম! লোকে বলে বারবেলা, কীত্ববেল কি সবটাই সর্বনেশে বাপু ? বিপদ যত ওই খতম হবার, বেলা । বারবেলা যখন ছাড়ছে, পায়ে কাটাটি ফুটলে দুনিয়ে উঠে অঙ্কা পাই দেবে-নবীন জেলের বড় ছেলেটাকে সেবার কুমিরে নিলে, সেদিনও বিষুদবার, সেঁবারও ছেলেটা খালে নামল, বারবেলাও অমনি ছেড়ে গেল— গাওদিয়ার খালে। নইলে কুমির আসে ? ? খালের কুমির শুধু নয়, ভুতোর কথায়ী ভূতের কথাও আগিয়া পড়িল । সুড়ঙ্গ পর বাজারের সন্ন্যাসী, বাজার দর, একালি-সেকালের পার্থক্য, নারী হরণ, ***তালুকদারের মেয়ের কলঙ্ক, বিদেশবাসী / গায়ের বড় চাকুরে সুজন দাস, এই সব আলোচনা। শশী কি এত উচুতে উঠিয়া গিয়াছে যে এই সব গ্ৰাম্য প্রসঙ্গে তাহাক্স মন বসিল না, শাস্ত অবহেলার সঙ্গে নীরবে শুনিয়া গেল ? “তা তো নয়। শুধু আধখানা মন দিয়া সে ভাবিতেছিল, এতগুলি মানুষের মনে মনে কি আশ্চৰ্য মিল। কারো স্বাতন্ত্র্য নাই, মৌলিকতা নাই, মনের তারগুলি এক সুরে বাধা । সুখদুঃখ এক, রসানুভূতি এক, ভয় ও কুসংস্কার এক, হীনতা ও উদারতার হিসাবে কেউ কারো চেয়ে এতটুকু ছোট অথবা বড় নয়। পঞ্চানন জমিদার সরকারের মুহুরি, কীর্তি নিয়োগী পেন্সনপ্রাপ্ত হেড পিয়ন, শিবনারায়ণ * গায়ের বাঙলা স্কুলের মাস্টার, গুরুগতির চাষ-আবাদ-ব্যবসা ইহাদের পৃখক,- মনগুলি এক ধাচে গড়িয়া উঠিল। কি করিয়া ? স্বতন্ত্ৰ মনে হয়। শুধু ভুজঙ্গাধরকে বাজিতপুরে সে ছিল এক উকিলের মুহুরি, টাকার গোলমালে “হু বছর জেলা খাটিয়া আসিয়াছে। বেশি কথা ভূজঙ্গাধর বলে না, ছোট ছোট কুটিল চোখের চাহনি চঞ্চল ভাবে এদিক ওদিক ঘুরিয়া বেড়ায়, মনে হয় কি যেন সে মৃতলৰ