পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটিতেছে, গোপন ও গভীর। কীর্তি নিয়োগীর মাথা জুড়িয়া চকচকে টাক, এতদিন পিয়নের হলদে পাগড়িতে ঢাকা থাকিত, এখন টাকের উপর আলুৱ মতো বড় আবটি' দেখিয়া হাসি পায় । ইহার প্রতি শ্ৰীনাথের শ্রদ্ধা গভীর, কেন সে কথা কেহ জানে না । কীর্তির কথাগুলি শ্ৰীনাথ যেন গিলিতে থাকে । কীৰ্তি একটি পয়সা বাহির করিয়া বলে ; ও ছিদাম, সাবুদিও দিকি এক পয়সার। শ্ৰীনাথ এক পয়সায় যতটা সাগু কাগজে মুড়িয়া তাহাকে দেয়। তাহা দেখিয়া সকলে যেন ঈর্ষা বোধ করে, ভুজঙ্গাধরের সাপের মতো চোখ ছটিতে কয়েকবার পলক পড়ে না। উপরে ঝোলানো কেরোসিনের আলোটাতে শ্ৰীনাথের দোকানে আলো মন্দ হয় না, দোকানের সাজানো জিনিসগুলিতে যেন একটি লক্ষ্মীশ্ৰী ছড়ানো থাকে । ছোট ছোট চৌকা কাঠের খোপে চাল ভপল, একটা ময়দার বস্তা, বারকোস বসানো তেলের গাদমাখা পাত্ৰ, মুড়ি DDDBBD uBuDuDS BBBBLD uDD DDD SDBBDBSMBLB BLDBS qLDBY LS বসানো হলদে টিনে সাগু-বালি, গোল গোল লিজেন্স,-ভুজঙ্গাধর চারিদিকে চোখ বুলায়, শ্ৰীনাথের বসিবার ও পয়সা রাখিবার চৌকো ছোট চৌকিটি ভাল করিয়া দেখিবার ভূমিকার মতো। সামনে পথ দিয়া আলো হাতে কেহ হাটিয়া যায়, কেহ যায় বিনা আলোতে, শ্ৰীনাথের একটি দুটি খন্দের আসে। উপস্থিত भँकचन খদেরকে সে ভুতোর মৃত্যু সংবাদ শোনায়া”-না, R বিষয়েই । আলোচনা চলুক ভুতোর কথাটা তাহারা ভোলে নাই । শশী উঠি-উঠি করিতেছিল, এমন সময় সকলকে অল্পবিস্তর অব 诗夺筒孤1 এক হাতে ক্যাম্বিশের ব্যাগ, এক হাতে লাঠি, বগলে ছাতি, পায়ে চটি, গায়ে উড়ানি যাদব পণ্ডিত পথ হইতে শ্ৰীনাথের দোকানের সামনে উঠিয়া আসিলেন । মানুষ বুড়া, শরীরটা শীর্ণ, কিন্তু হাড়কখানা মজবুত । বিদ্যা যাদবের বেশি নয়, পণ্ডিত বলিয়া খ্যাতিও তাহার নাই, ধামিক ও অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন বলিয়াই তিনি প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। গৃহস্থ যোগী তিনি, সংসারী সাধক। স্পর্শ করিবার অধিকার যাহাদের আছে, দেখা হইলে পায়ের ধুলা নেয়, অপরে। সাষ্টাঙ্গ প্ৰণিপাত করে। সাধন-পথের কতগুলি স্তর যাদব অতিক্ৰম করিয়াছেন কেহ জানে না, ভক্তি যাদের উচ্ছসিত, মতারা সোজাসুজি সিদ্ধি লাভের কথাটাই বলে। যাদব নিজে কিছু স্বীকার করেন না, প্ৰতিবাদও করেন নূ। কায়েত-পাড়ার পথের ধারে, যামিনী কবিরাজের বাড়ি ও শশীদের বাড়ির মাঝামাঝি একটি ছোট একতলা বাড়িতে যাদব বাস করেন । এত পুরাতন, এমন জীর্ণ বাড়ি এ অঞ্চলে আর নাই। বাড়িৰ SNe