পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার সাড়া পাইয়া কুসুম যে কলসীটা তুলিয়া ঘাটে চলিয়া গিয়াছিল, শশী তাহা কেমন করিয়া জানিবে ? পারানের বক্তব্য শেষ হইয়া অসিলে কুসুম ভিজা কাপড়ে উঠানের রোদে পায়ে দাগ আঁকিয়া পুবের ঘরের ছায়ার মধ্যে ডুবিয়া যায়। রান্নাঘরের পোড়া ডালের গন্ধে চারিদিক ভরিয়া যাওয়ার পর ঘর হইতে সে আর বাহির হয় না । মোক্ষদার রূঢ় বাক্যস্রোতে তারপর কিছুক্ষণের জন্য মতির বিবাহের সমস্যা ভাসিয়া যায় । রান্নাঘরের খোলা দরজা দিয়া অপরাধী ডালের হাড়িটা উঠানে আসিয়া আছড়াইয়া পড়িতে আজ যে আবার ও প্ৰসঙ্গ উঠিবে সে সম্ভাবনা থাকে না । শশী ভাবে, সকলের কাছে কত বিকাব্যকিই বৌটা না জানি শুনিবে ! মোক্ষদা, বুচি, মতি সকলেই হৈ হৈ করে, ও-ঘর হইতে মুমূর্ষু পিসী চেচায়, কি হল রে বুচি ? কি হল রে মতি ? চুপ করিয়া থাকে। শশী । সকলকে চুপ করাইতে গিয়া পরান হল্লা আরও বাড়ায় । * কিন্তু কি নির্বিকার কুসুম ! রাগের মাথায় ডালের হাড়িটা যে উঠানে ছুড়িয়া দিয়াছে, সে হাসিমুখে বাহিরে আসে। দাডুয়, শশীর সামনে বলে, জর এল নাকি, দেখুন দিকি ছোটবাবু। শশী নাড়ি ধরিয়া বলে, জর আসেনি বেৰী । iथ ८८ ८ ? * কতক্ষণ ধরে জলে ডুবিয়েছ তুমিই জানো, মাথার দোষ কি ? কুসুম মাথা নাড়িয়া বলে, উহু, আমার ঠিক জ্বর আসছে, আমি গিয়ে শুলাম । যা লো মতি, আজ তুই রাধাবি যা । কুসুম ঘরে গিয়া শুইয়া পড়ে । কিন্তু শুইয়া কেন থাকিতে পরিবে এই চঞ্চলা নারী ? খানিক পরে উঠিয়া আসিয়া না বলিতেই পরানকে এক ছিলিম তামাক দিয়া সে অদূরে বসিয়া পড়ে । স্বদেবের সঙ্গে মতির বিবাহে শশীর মত নাই শুনিয়া বলে, কেন গো ছোটবাবু, মদেব পাত্তর কি এমন মন্দ ? পুরুষমানুষের স্থাবার বয়েস-সতীন কাটা তো নেই ? ঘরে পয়সা আছে লোকটার-মেয়ে স্থাখে। থাকবে । শশী-বিলে, হারুকাকার অমত ছিল সেটা তো ভাবতে হবে বৌ ? কুজুম বলে, তিনি সগ্যে গেছেন । আর কিছু কুহুম বলে না। শশী তাহাকে বুঝাইবার চেষ্টা করে, স্বন্ধেব R C