পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গয়না। একটা জবরজঙ্গ লেস-লাগানো জ্যাকেট গায়ে দিয়া আঁক্তিবাড়িৰু কোরা কাপড় পরিয়া ওদের মাঝখানে ( মাঝখানে তাঁহাকে বসিতে দিবেন। ছাই, একু কোণে বির মত বসিতে হইবে) গিয়া বসিলে দম আটকাইয়া যাইবে কুসুমের । শেষ পৰ্যন্ত পর্যানের সঙ্গে মতি একাই গেল। শশীকে খুজিতে হইল না । সে বাড়িতেই ছিল। সে বলিল, তোর তো কম সখা নয় মতি! কিন্তু সঙ্গে গিয়া মতির বসিবার একটা ভাল ব্যবস্থা করিয়া দিতে সে আপত্তি করিল না। বরং নেটের পর্দার আড়ালে, যেখানে বাবুদের বাড়ির মেয়েরা বসে, মতিকে সেখানে বসাইতে পারিয়া সে বিশেষ গর্বই বোধ করিতে লাগিল । শীতলীবাবুদের বাড়ির মেয়েরা গায়ে সিস্কের ব্লাউজ দেয়, বোম্বাই শাড়ি । পরে। শীতলবাবুর ভাই কলিকাতা-প্রবাসী বিমলবাবুর স্ত্রী-কন্যারা পায়ে জুতাও দিয়া থাকে। দু’ভায়ের পরিবারে নারীর সংখ্যাও কি কম! সংসারে যেখানে যত টাকা সেখানে তত নারী, সেখানে তত পাপ । মতি সংসারের এ নিয়ম জানিত না । সংসারের কোন নিয়মটাই বা সে জানে ? কঁচা মেয়ে সে, বোকা মৈয়ে। প্ৰায় কুড়ি বৰ্গ ফিট পরিমাণ পরিষ্কার চাদরের উপর গাদা করা ঘষামাজা সাজানো-গোছানো স্বজাতির মধ্যে আসিয়া পড়িয়া সে যেন দিশেহারা হইয়া গিয়াছিল। বিমলবাবুর छौ छ८थांना खांभांद्म মুখে কি দেখছি বর্ষ। হু । বিমলবাবুর মেয়ে বলে, তোমার চশমা দেখছে মা । - মতির বুকের ভিতর চিপ-চিপ করে । তাহাকে বসিতে দেওয়া হহঁয়াছে। সম্মানের আসনেই, সামনের দিকে, পিছনে আশ্রিত পরিজনদের মধ্যে নয়f শীতলবাবু নিজে মেয়েটিকে সঙ্গে করিয়া পৌছাইয়া দিয়া বলিয়াছেন, সামনে বসিও । শশী ডাক্তারের বাড়ীর মেয়ে । কাল শশী ডাক্তারের বাড়ীর মেয়েরা যত বিশ্ৰী করিয়াই হোক খুব সাজিয়া আসিয়াছিল, এর আজ একি বেশ । শীতলবাবু আর বিমলবাবুর বাড়ির • মেয়েরা এই কথা ভাবিয়াছিল । তাহারা কাপড় চেনে, গয়না চেনে, নিজেদের ঘবে এবং মাজে ৷৷ ও মেয়েটা, ধরতে গেলে, রীতিমত নোংরাই । শীতলবাবুর পুত্রবধু গতবার ছেলে হওয়ার সময় বাজিনপুরের সিভিল সার্জন আসিয়া পড়াৰু আগে শশীর হাতেই জীবন gళ్లు-స్టాత=R হইয়াছিল। বিছানুয় শুইয়া শুইয়া নভেল পড়ার সে কি ভীষণ শান্তি । যাই হোক ছেলেটি বির কাছে দোতলায় এখন চোখ বুজিয়া ঘুমাইতেছে । (R :