পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

খাবার দিয়া নানা কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। গাওদিয়া গ্রামটি সম্বন্ধে আজও বিন্দুর কৌতুহল আছে। কে বাচিয়া আছে, কে স্বৰ্গে গিয়াছে, চেনা ছেলেমেয়েদের মধ্যে কার কার বিবাহ হইয়াছে, কার কটি ছেলেমেয়েশশীর মুখে এ-সব খবর শুনিতে শুনিতে বিন্দুর চোখ ছলছল করিতে লাগিল। • শশী বলিল, এর মধ্যে তোর খোকা-খুর্কী কিছু হয়নি বিন্দু ? বিন্দুখোড় নাড়িল। কিন্তু মুখে বলিল উলটা কথা । মরে গেল যে ? মরে গেল ? কিবে মরে গেল ? আর বছর । era শেষবার দেখিতে আসিয়া শশীর মনে হইয়াছিল বিন্দুর বোধ হয় ছেলে হইবে । সে ছেলে হইয়া। তবে মরিয়া গিয়াছে ? বিন্দু দেওয়ালের গায়ে রাধাকৃষ্ণের ছবিটার দিকে চাহিয়া দাড়াইয়া” ছিল । হঠাৎ শশীর মনে হইল। শরীরটা বিন্দুর ঠিক আছে, কিন্তু মুখটা তাহার কেমন এক অদ্ভুত রকমের রোগ হইয়া গিয়াছে। মুখের চামড়ার নীচেই যেন শুকতা,-অকের লাবণ্য শুষিয়া লইতেছে । তোর অসুখবিসুখ করেছে নাকি বিন্দু ? কিসের অসুখ ?? বেশ আছি আমি । বাহিরে গিয়া বিন্দু কোথা হইতে এক পাক ঘুরিয়া আসিল । ভালোই আছিস বিন্দু, আঁ্যা ? अछि दई-कि ! সমস্ত ব্যাপারটা এমন বিস্ময়কার লাগে ! এমন রহস্যময় মনে হয় বিন্দুর মুখের গোপন-করা বুড়োটে ভাব, বিন্দুর অবসাদক্লিষ্ট, নিরুত্তেজ কথা । বিন্দু তার বোন, পাতানো সম্পর্ক নয়। ছুরি দিয়া আঙুল কাটিয়া দিলে দুজনের ষে রক্ত বাহির হইবে তাহা এক, কোন পার্থক্য নাই। অথচ বিন্দুকে সে একরকম C5Cat a, cztat a 配 শশী মমতার সঙ্গে বলিল, অত দুর বসলি যে n এদিকে আয়, এখানে Car বিন্দু উদ্ধতভাবে বলিল, কেন ? 蝠 শশী বলিল, আয়, সরে আয়, কটা কথা শুধোই তোকে । ইতস্ততঃ করিয়া বিন্দু কাছে আসিল । তার দুচোখ দিয়া জল পড়িতেছে । কঁদিস কেন ? bro