পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* পুত্ৰশোকাতুর ছুঃখিনী মাতা। পাইলেন। তথায় একখানি জাহাজ বা নৌকা কি আর কোন জলযান, কিছুই নাই। দণ্ডায়মান হইয়। ৰুিরূপে পার হইবেন ভাবিতে লাগিলেন। অল্প জল হইলে তিনি জল ভাঙ্গিয়া হাটিয়া পার হইতে পারিতেন । গভীর জল দেখিয়া মনে কুঞ্চিৎ ভয়ের সঞ্চার হইল। কিন্তু পুত্রের অন্বেষণ না করিলেও নয়। কি করিবেন, কিছুই নিশ্চয় করিতে পরিলেন না। একবার মনে করিলেন আমি হ্রদে পড়িয় সমুদায় জলটা শুধিয়া পান করিয়াফেলি। কিন্তু তাহ। মনুষ্য জাতির পক্ষে অতি দুঃসাধ্য কৰ্ম্ম । তথাপি সেই পুত্ৰশোকযুক্ত উন্মত্ত নারী মনে মনে আলোচনা করিলেন, সমুদায় হ্রদের জল শোষণ করিয। পান করা অসাধ্য হইলেও আমি বিশেষ যত্ব করিয়া দেখি, না পারিলেই বা কিরূপে পুত্রের অন্বেষণ করিব । এইরূপ ভাবিয়া সেই পুত্র বিয়োগে উন্মত্ত। মাত তীর হইতে হ্রদে নামিতে লাগিলেন । হ্রদ বলিয়া উঠিল না না, এমন কৰ্ম্ম কখনই হইতে পারিবে না, তোমায় আমার সম্মত হইয় অগ্রে একটি পণ করি আইস । মুক্ত সঙ্গহ করিতে আমি অতিশয় ভাল বাসি ; তোমার চক্ষু দুটি নিৰ্ম্মল মুক্তর স্বরূপ হইয়াছে, এরূপ অপরূপ মুক্ত আমি জন্মাবধি দেখি নাই । তুমি অবিরত রোদনৰ্দ্ধারা আপন নয়নদ্বয়কে অশ্রু জলে ভাম - ইতে পারিলেই আমি তোমাকে যমরাজের প্রাসাদ পর্য্যস্তু পষ্ট ছাইয়া দিব। ঐ যে দূরস্থিত প্রকাগু অট্টালিকা দেখিতেঙ্গ, উহাই উহার বসতি স্থান । বাটীর সম্মুখভাগে একটি মনোহর উদ্যান আছে, তাহীর মধ্যে উত্তমোত্তম বৃক্ষ শ্রণী এবং তদুপরি প্রস্ফুটিত পুষ্প সকল দেখিতে