পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

較 ৮ পুত্ৰশোকাতুর স্থাথিনী মাতা। পাইবে । সে সকল বৃক্ষই ময়ুখ্য জাতির জীবন । যমরাজা তাদৃশরূপে রোপণ করিয়া রাখিয়াছেন । শিশুর মাতা রোদন করিতে করিতে কহিলেন, আমি পুত্রাখিনী, অপত্যবিরহে অতিশয় কাতর হইয়াছি; ঘদি নিজ পুত্রের অন্বেষণ পাই, তুমি যাহা চাহিবে, জামি তাহাই দিব। ইহা বলিয়া পুত্ৰশোকাতুরা দুঃখিনী জননী এত অধিক ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন যে, আপনার চক্ষু দুটি হ্রদের জলে লীন করিয়া ফেলিলেন । ঐ দুইটি নয়ন হ্রদে পতিত হইয়া অমুল্য মুক্ত স্বরূপ হইয়া উঠিল । তখন সেই অন্ধ অবল নিতান্ত ক্লান্ত হইয়া জলের উপরি উপবেশন করিয়া রহিলেন এবং তরঞ্জসংযোগে । যেরূপ অবস্থায় পাব হওয়া যাইতে পারে, ঐ হ্রদ সেইরূপ অবস্থায র্তাহাকে পর পারে লইয়া গেল । - সেই স্থানেই মৃত্যুর আশ্চর্য বাদ প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ পৰ্য্যন্ত বিস্তারিত । উহা কি পৰ্ব্বত, কি বন, কি পরিখা দ্বারা বেষ্টিত হইয়াছিল, অথবা বড় বড় গুড়ী কাষ্ঠ দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, দুঃখিনী মাত তাহ নিশ্চয় করিতে পারিলেন না। সেই অবল নারী রোদন করিয়া অপেন চক্ষু দুটি নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন, কি রূপেই ৰ৷ দেখিতে পাইবেন । বৃহদাকার কোন বস্তু হস্তে স্পৃষ্ট হইলেই তিনি উচ্চস্বরে জিজ্ঞাস করেন কে কোথায় আছে গো ! আমার হৃদয়ের ধন প্রাণাধিক সন্তান টিকে যমরাজ অপহরণ করিয়া আনিয়াছেন, তাহার দেখা কোথায় পাই অামাকে বলিয়া দাও । দুঃখিনী এই রূপ চীৎকার কfরয় বেড়াইতে লাগিলেন, তাহ শুনিয়া ক্লতাস্তের ভবনরক্ষিক পঙ্ককেশযুক্ত এক বৃদ্ধ স্ত্রী বহির্গত হইয়া কৰিল,