পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্ৰশোকাতুর ছুঃখিনী মাতা। 为 যমরাজ এখনও ভবনে আসেন নাই । তুমি কে গো ! কিরূপে এখানে আইলে ? কেই বা তোমাকে সাহায্য করিল ? দুঃখিনী মাত উত্তর করিলেন, ওগো পরম দয়ালু পরমেশ্বর আমাকে সাহায্য করিয়াছেন, এক্ষণে ভূমি আমার প্রতি কিঞ্চিৎ অনুকুলা হইয়া আমার ক্ষুদ্র শিশুকে কোথায় পাইব তাহ। বলিয়া দাও । বৃদ্ধ স্ত্রী তাহ শুনিয়া উত্তর করিল, ওগো বাছা! ভোমার সস্তান কোথায় আছে আমি তাহার কিছুই জানি না, তোমারও চক্ষু নাই যে আপনি অন্বেষণ করিয়া দেখিয়া লইবে । অদ্য রাত্ৰিযোগে এ উদ্যানে অনেক বৃক্ষ ও অনেক পুষ্প শুষ্ক হইয়া গিয়াছে, যমরাজা অবিলম্বে অগিমন করিয়! তাহ পুনরায় সজীব করিবেন । প্রত্যেক মনুষ্যের অবস্থাদুসারে জীবন রূপ বৃক্ষ অথব জীবন রূপ পুষ্প এখানে এক একটি অাছে। তাহাদিগকে অন্যান্য মামান্য বৃক্ষবৎ দেখাইলেও, তাহদের হৃদয়মগুল দুপ দুপ করিয়া কম্পিত হইয়া থাকে ৮ বালকদিগেরও অন্তঃকরণ সেইরূপ কম্পিত হয়। ইহাতেই বোধ হইতেছে তুমি আপন সন্তানের হৃদয়স্থানটি উত্তমরূপে চিনিতে পারিবে । কিন্তু আর যাহা যাহা করিতে হইবে তাহ যদি আমি তোমায় বলিয়াদিই, তবে তুমি আমায় কি দিবে তাহ বল ? ইহা শুনিয়া দুঃখিনী মাতা প্রত্যুত্তর প্রদান করিলেন, তোমাকে দিই এমন আমার কিছুই নাই, তোমার নিমিত্ত যদি আমাকে পৃথিবীর শেষভাগেও যাইতে হয়, তাহতেও৯আমি অসম্মত নহি ।