পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রন্থিয়াছে কেহ তাহা গণনা করিয়া নিশ্চয় বলিতে পারে না। প্রত্যেকেরই এক এক ভিন্ন ভিন্ন নাম, এবং তাহাদের প্রত্যেকেই এক এক ভিন্ন ভিন্ন মনুষের জীবন ; কেছ ভারতবর্ষনিবাসী, কেহ ইংলণ্ডনিবাসী, কেহব। আরৰ দেশনিবাসী ছিল, এবং পৃথিবীস্থ আর আর সকল দেশের লোকেরই জীবন ঐ সকল বৃক্ষমধ্যে নিহিত ছিল । কতক গুলা বড় বড় বৃক্ষ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডাবার উপরি স্থপিত হওয়াতে প্রায় তাহীদের নাশ হইবার উপক্রম হইয়াছিল ; তাহারা এতাদৃশ দীর্ঘাকার হইয়া ক্ষুদ্রই ডাবাতে কি ৰল করিতে বা সতেজ থাকিতে পারে ? ধোপ হয় তাহর। ঐ পাত্র গুলকে চূর্ণ করিলেও করিতে পারিত। আর অনেক গুলিন ক্ষুদ্র অথচ কোমল পুষ্পের চারা গাছ, শৈবাল দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়৷ উৰ্ব্বর ভূমিতে স্থাপিত হইয়াছিল এবং বিশেষ যত্নে তাহাদের মুলে জলসেচন দি হইত । দুঃখিনী মাত ক্রমে ক্রমে ঐ ক্ষুদ্র ২ রক্ষসকলের উপর নত হইয়া পরীক্ষা করিতে লাগিলেন । কাণ দিয়া শুনিতে পাইলেন যে তাহদের মধ্যভাগটা দুপ দুপ করিয়া কম্পিত হইতেছে । সেখানে লক্ষ লক্ষ চারাগাছ থাকিলেও অন্তর্গত শব্দের দ্বারা, যে গাছটি র্তাহার অপেন শিশু তাত কে তিনি চিনিতে পরিলেন । অনন্তৰ তিনি সেই অতিক্ষুদ্র সুর্য্যমণি পুষ্পের চারার প্রতি ই স্ত বিস্তারিত করিয়া উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া উঠিলেন, ওরে এই যে দুঃখিনীর সস্তান। তখন গাছটি ক্ষীণ তেজ প্রযুক্ত ভূমিতে মাথা নোয়াইয়া ছিল । রুদ্ধ স্ত্রী বলিল, ওগো বাছা তুমি এখন ফুলের চারাটি