পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২. নায়কশোকাতুর ছধিনী বারিকা। ইহারই একটির ভিতর প্রৱেশ করিয়া প্রাতঃকাল পর্যন্ত শয়ন করিয়া থাকি । ইহ মনে করিয়া সে সেখানে উড়িয়াগেল । গিয়৷ দেখে ষে সেই নিকুঞ্জবনে একটি পরম সুন্দর যুব পুরুষ এবং এক মুন্দরী রমণী উভয়ে পাশাপাশি একত্রে বৃসিয়৷ রহিষাছে, এবং পরস্পর আপনাদিগের অভিলাষ প্রকাশ পুৰ্ব্বক আলাপ করিতেছে । রমণী বলিতেছে দেখ লাখ! বোধ হয় আমরা উভয়ে কখনই পৃখক হুইব না, চিরকাল এক সঙ্গে থাকিয়া পরম মুখে কাল যাপন করিব । আহ ! তাহাদিগেব কি প্রেম ! ৰোধ হয়, এক দিনের জন্যেও বিচ্ছেদ হইলে পরস্পরের প্রাণ বিয়োগের সম্ভাবন । কামিনীর মুখে এই কথা শুনিয়া ফুৰা পুরুষ বলিল, দেখ প্রিয়ে বোধ হয় অবশ্যই আমাদিকে পৃথক হইতে হইবে, আমরা যে পরম্পর স্নেহ করি, তাহ তোমার ভাইতে কোন প্রকারে সহ করিতে পারেন না । অনুমান করি এজন্যই আমাকে পত্রবাহক করিয়া সমুদ্র পারে দেশ দেশান্তরে পাঠাইয়া দিতেছেন । কিন্তু আমি তোমাকে আপন প্রাণের ন্যায় ভাল বাসি, তোমাকে ত্যাগ করিয়া কিরূপে আমি দেশান্তরে গমন করিব এই ভাবনীয় অতিশয় ব্যাকুল হইতে হইয়াছে, যাহাহউক না যাইলেই নয়, অতএব প্রিয়তমে এক্ষণে কিছুদিনের নিমিত্ত তোমার নিকট বিদায় লইতে হইল । প্রিয়তমের মুখে এই কথা শুনিয়া ঐ নবপ্রণয়িনী এককালে বজ্রাহতের ন্যায় নিতান্ত দুঃখিত হইল। কিন্তু কি করিবেক, পরের অধীন, আজ্ঞাপালন না করিলেই নয়, সুতরাং প্রাণনাথকে অগত্য বিদায় প্রদান করিল । ,