পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নায়কশোঙ্কাতুর দুঃখিনী নায়িকা। ২১ অনন্তর তাহারা পরস্পর আলিঙ্গন করিলে, বালিকা ক্ৰন্দন করিস্তে করিতে স্মরণচিহ্ন স্বরূপ তাহাকে একটি গোলাপের কুড়ি দিল। যুব পুরুষ যত্ন করিয়া তাহ হস্তে লইতেছিলেন এমত সময়ে ঐ বালিকা ঐ কুড়িটিতে এমনি কঠোর চুম্বন করিল যে তাহা একেবারে প্রস্ফুটিত হইয় পড়িল । ক্ষুদ্র পরি ঐ সুযোগে উডিয়া গিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করিল, এবং সু কোমল সদৃগন্ধ যুক্ত বালিশের উপর আপনার মস্তকটা স্থাপন পুৰ্ব্বক শয়ন করিয৷ রহিল। স্বচ্ছলো শয়ান হুইয়। বাহিরে, কেবল “বিদায হই বিদায় হই’ এই কথাটি বারম্বার শুনিতে পাইল । অনস্তর মনে মনে অনুমান করিল যুব পুরুষ অবশ্যই গোলাপ ফুলটি আপন বক্ষঃস্থলে রাখিয়া থাকিবেক, তাহা না হইলে ভিতরে এত দুপ দুপ করে কেন ? । ফলতঃ বক্ষঃস্তলের এমনি শব্দ হইতে লাগিল যে পরি কোন প্রকারে নিদ্রা যাইতে পারিল না । ঐ যুবকের হৃদয়মধ্যে গোলাপ ফুলটি অনেক ক্ষণ পর্য্যস্ত স্থাপিত থাকিল । সে একাকী অন্ধকারময় বন দিয়া যাইতে যাইতে প্রিয়তমাকে মনে করিয়া অতিশয় দুঃখিত হইতে লাগিল । এবং ঐ পুষ্পটি বাহির করিয়া সঘনে বারম্বার তাহাতে চুম্বন করিতে লাগিল । চুম্বন কালে বায়ুর আকর্ষণ হেতুক তন্মধ্যস্থ ক্ষুদ্র পরির প্রায় শ্বাসাবরোপ হইল। ঐ যুবকের ওষ্ঠদ্বযু প্রিয়াবিরহতাপে কেমন, উত্তপ্ত হইয়াছিল, তাহ তখন পরির উত্তমরূপে ৰোধ হইতেলাগিল । মধ্যাহ্ন কালের প্রচণ্ড রৌদ্রে পুষ্পগণ যেরূপ একেবারে ক্লান্ত হইয় প্রস্ফুটিত হয়, তাহার চুম্বনে গোলাপ ফুলটিরও সেইরূপ অবস্থা হইল।