পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ - নায়কশোকাতুর দুঃখিনী নায়ক। ভগ্নী মৃত্যুকালে আমাকে এই জুইফুলের গাছটি আপন সম্পত্তি স্বরূপ দিয়া গিয়ছে, অতএব আমি ইহাকে স্থানস্তর করিযা আপনার গৃহে শয্যার নিকটে রাখি, আহা উহা দেখিতে কি মনোহর। এবং উহার সেীরডেই বা কেমন আনন্দ উৎপত্তি করে ! এই বিবেচনা করিয়া সে ঐ লুইগাছটা আপন গৃহে লইয়া যাওয়াতে ক্ষুদ্র পরিও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল ? ' প্রত্যেক পুষ্পেই এক এক ক্ষুদ্র আত্মা বাস করে। পরিট এক পুষ্প হইতে পুষ্পাস্তরে উডিয়া যাইয় তাহাদিগের সকলকেই ঐ দুষ্ট ব্যক্তির নিষ্ঠর ব্যবহারের কথা আদ্যোপান্ত বলিল । এবং এই প্রকার শোক করিতে লাগিল, হায়! দুরায় যে ব্যক্তিকে হত্যা করিয়াছে, এতদিনে তাহার মস্তক ঐ পুষ্পবৃক্ষাধারস্থিত মৃত্তিকার নীচে লীন হইয় থাকিবে, উহার অবল ভগ্নীও প্রিয়তম শোকে আপন প্রাণ পরিত্যাগ করিয়াছে । পুপস্থিত ক্ষুদ্র আয়ারা কহিতে লাগিল, আমরা কি ইহা জানি না, আমরা ষে ইহা অনেক দিন জানি, যে হত ব্যক্তির কথা কহিতে আমরা তাহারই চক্ষু এবং ওষ্ঠ হইতে উৎপন্ন, এই বলিয়া এক প্রকার আশ্চর্য ভাব প্রকাশ করিয়া তাহারা মস্তক নাড়িতে লাগিল । ক্ষুদ্রাত্মাদিগকে এই ভয়ামক বিষয়ে এত শিথিল এবং নিস্তন্ধ দেখিয়া পরিট কি করিবে তাহার কিছুই বিবেচন। করিতে পারিলন, ভাবিয়া চিন্তিয় মধুমক্ষিকা দিগের কাছে উড়িয়া গেল, গিয়া দেখে, যে তাহারা সকলেই একত্র হইয়া মধু আহরণ করিতেছে । সে তাহাদিগকে ঐ দুষ্ট ব্যক্তির বিবরণ বলিবাতে মধুমক্ষিকাগণ তাহ শ্রবণ করিয়া কুপিত