পাতা:পুরাতন পঞ্জিকা - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেফালিকার দুঃখ । তিনটা কচি পাতা আমার শরীরে শোভমান । বালিকা আমাকে দেখিয়া সহৰ্ষে করতালি দিয়া উঠিল এবং সঙ্গী সঙ্গিনীদিগকে ডাকিয়া আমার ন্যায় একটি মহাৰ্য-রত্ন আবিষ্কার করিয়াছে বলিয়া নিজের গৌরব উচ্চৈঃস্বরে ঘোষণা করিল। \খন তাহার সেই কচি কচি রাঙ্গা দুইখানি হস্ত, আমার দেহস্পর্শ কমিল। সে যে কি স্পর্শ! কি বলিয়া বুঝাইব সেই সুখ-কোমলস্পর্শ ? আমরা বৃক্ষজাতি, অমন স্নেহ-পৰশনে আমাদের প্রাণের মধ্যে কি এক অপূৰ্ব্ব ভাবের সমাবেশ হয়, তাহা তোমরা কঠিন মানব, কেমন করিয়া বুঝিবে ? সেই বালিকার কর-স্পর্শে আমার প্রত্যেক পরমাণুতে যেন বিদ্যুৎ খেলিয়া গেল;-আমি এক মুহূৰ্ত্তে আর এক নূতন জীবন পাইলাম। এত দিন সেই কামিনীগাছের ছায়ায় তৃণরাশির মধ্যে আমি আমার অস্তিত্ব লোপ করিয়া বসিয়া ছিলাম। আজ আমি যে “দশজনের একজন” ত্যাহা বুঝিতে পারিলাম ; আমি আমার বৃক্ষজীবনে আজ এই প্রথম মানুষের আদর পাইলাম। বালিকা তখন সেই তৃণাসনে উপবিষ্ট হইয়া আমার গায়ে হাত বুলাইতে লাগিল, এবং কি করিয়া আমাকে সেখান হইতে তুলিয়া লইয়া যাইবে, তাহারই চেষ্টা দেখিতে লাগিল । শেষে একটি বালকের সাহায্যে আমি সেই মিত্ৰদিগের উদ্যানের নিভৃত কোণ হইতে উত্তোলিত হইলাম। বালিকা আর বিলম্ব করিতে পারিল না। তাড়াতাড়ি আমাকে লইয়া বাড়ী চলিয়া গেল। তাহাদের বহিঃপ্রাঙ্গণের এক পাৰ্থে আমার জন্য স্থান নির্দেশ করিয়া দিল । পাছে কোন প্রকারে আমার অনিষ্ট হয়, এই ভয়ে বালিকার পিতা, স্নেহময়ী কন্যার অনুরোধে আমার চারিদিকে বেড়া বাধিয়া দিল । প্ৰতিদিন প্ৰাতঃকালে, সন্ধ্যায়, বালিকার হস্ত-সিক্ত নিৰ্ম্মল জলে-~~ ততোধিক নিৰ্ম্মল তাহার স্নেহ-বারিতে- আমি বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিলাম । DD D BBDD DBDB gBiBu S DDBDYSTDD BgBS BDY