তৃতীয় গর্ভাঙ্ক। পুরুরাজের শিবির-পার্শ্বস্থ অস্ত্ৰবন। নিশীথ সময়—গগনমধ্যে পূর্ণচন্দ্র বিরাজমান। পুরুর প্রবেশ । পুক (গাঢ় চিন্তায় মগ্ন ইয়া সঞ্চরণ কবিতে কবিতে) হব ! এমন পূর্ণিনাব চন্দ্র সমূদিত—কিন্তু আমার হৃদয়ে দেন তীব্র বিক কিরণ বর্ষণ কচ্চে। সুখ আমার হৃদয় থেকে জন্মের মত বিদা: নিয়েছে; প্রকৃতির এরূপ স্নিগ্ধ ভাব আর আমার এখন ভাল লাগৃচে না। অমানিশার ঘোর অন্ধকারে গগন আচ্ছন্ন হয়ে যাক,—মেঘের গর্জনে দিগ্বিদিক্ কম্পমান হোক,—মূহুমু হু ভীষণ বজ্রপাত হোক,— প্ৰলয় ঝড়ে সমস্ত ব্ৰহ্মাও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাক, তা হলে প্রকৃতির সঙ্গে আমার মনের কিছু সামঞ্জস্ত হবে। এখন আমার মনে হচ্চে যেন আমার দুঃখে সকলেই হাসছে—চন্দ্রম হাস্ছেন,–চন্দ্রের হান্তে সমস্ত প্রকৃতিই হাস্ছে। হায়! আমার এখন আর কিছুই ভাল লাচে না ; রণক্ষেত্রে যদি আমার প্রাণ বহির্গত হ’ত, তা হলে আমার এত মন্ত্রণা ভোগ কত্তে হ’ত না । কিন্তু কি!—এখনও আমি সেই মায়াবিনীকে বিস্তৃত হতে পাল্লেম না ? এক জন চপণ। রমণীর জন্য বীব পুরুষের হৃদয় আপীল হবে ?—বিক –
পাতা:পুরু-বিক্রম নাটক.djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।