うb" পুরু-বিক্রম নাটক। ম্পরকে উৎসাহ দিচ্চে,ক্ষুদ্রতম পদাতিসেনা পর্যন্ত সমরক্ষেত্রে গৌরবলাভ করবার জন্য উৎসুক হয়েছে, প্রত্যেক সৈন্তশ্রেণীর মধ্যে গিয়ে আমি দেখেছি, সকলেই দেশের জন্য প্রাণপণ করেছে। আমি যাবামাত্রেই সকলে—“জয় ভারতের জয়” বলে সিংহনাদ করে উঠলে,—আর আমাকে এইরূপ বলতে লাগলো যে,--"আর কতক্ষণ আমরা এই শিবিরে বসে বসে কাল হরণ করবো? শীঘ্র আমাদিগকে রণক্ষেত্রে নিয়ে চলুন। যবনরক্ত পান করে আমাদের অসির পিপাসা শান্তি হোক।” এই বীরপুরুষদের আর কতক্ষণ থামিয়ে রাখা যায়? যবনরাজ এখন অনুকুল অবসর খুজচেন। এখনও তিনি সময়ের জন্ত প্রস্তুত হতে পারেন নি, এই হেতু তিনি কালবিলম্ব আশায় তার দূত এফেষ্টিয়নকে আমাদের নিকট পাঠিয়েছেন ও নিরর্থক প্রস্তাবে,— তক্ষশীল। কিন্তু মহারাজ ! তার কথা তো একবার আমাদের শোনা উচিত। সেকন্দর সাব কি অভিপ্রায়, আমরা তো তা জানিনে। এমন হতে পারে, তিনি আমাদের সঙ্গে সন্ধি করবার জন্য উৎসুক হয়েছেন। পুরু। কি বল্লেন মহারাজ ! সন্ধি ? সেই যবনদস্থার হস্ত হতে আমরা সন্ধি গ্রহণ করব? ভারত ভূমিতে এতদিন গভীর শান্তি বিবাজ কচ্ছিল, সে স্বচ্ছন্দে এসে সেই শান্তি উচ্ছেদ কবলে ; আমরা তার প্রতি অগ্রে কোন শক্ৰতাচৰণ করিনি, সে বিনা কারণে, খড়গহস্তে আমাদের দেশে প্রবেশ কল্পে, লুটপাট করে আমাদের কোন কোন প্রদেশ ছার খার করে ফেল্পে, এখন আমরা কিনা তার সঙ্গে সন্ধি করব?
পাতা:পুরু-বিক্রম নাটক.djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।