পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} ф о পুরোহিত-দর্পণ । :म १७ ॥ অমুকনাগ ইহাগচ্ছাগচ্ছ ইত্যাদিক্ৰমে আবাহন করিয়া পঞ্চোপচারে পূজাকরিবে ও “অমুকনাগ এই জলের রক্ষক হইলেন” এই কথা যজমান সাধারণকে জানাইবেন । অনন্তর নাগদণ্ডকে নিম্নলিখিত দ্রব্য মিশ্রিত জলদ্বারা নিম্নলিখিত মন্ত্রে স্নান করাইবে, যথা— . ওঁ গন্ধদ্বারাং ভূরাধৰ্ষাং নিত্যপুষ্টাং করাষিণীম্‌। ঈশ্বরীং সৰ্ব্বভূতানাং ত্বামিহোপহবয়ে শ্রিয়ম ৷ ( গন্ধদ্রব্যের ছিটা দিবে। ) ওঁ ভদ্রং কর্ণেভিঃ শৃণুয়াম দেবা ভদ্রং পশ্বেমাক্ষভিৰ্ষজত্ৰাঃ। স্থিরৈরঙ্গৈস্তুষ্টুবাংসস্তনুভিবর্ণশেম দেবহিতং যদায়ু । ( তৈল হরিদ্রাস্বারা দণ্ড অভু্যক্ষণ করিবে । ) ওঁ কাণ্ডাৎ কাণ্ডাৎ প্ররোহন্তী পরুষঃ পরুষম্পরি । এবা নো দুৰ্ব্বে প্র তকুসহস্ৰেণ শতেন চ স্বাহা –( দুৰ্ব্বাজলে দণ্ড স্বান কবইবে । ) ওঁ দ্রুপদাদিব-–( এই মন্ত্রে সপ্তমৃত্তিকাদ্বারা দণ্ড স্নান করাইলে । ) ওঁ মধুৰাতা--(এই মন্ত্রে পঞ্চামৃতদ্বারা স্নান করাইবে । ) ওঁ যাঃ ফলিনী—( এই মস্ত্রে ফলযুক্ত জলদ্বারা স্নান কবাইবে । ) পরে ঘণ্টা, চামর, দর্পণ, কিঙ্কিণী-সমন্বিত পতাকা ঐ নাগযষ্টির অগ্রভাগে আবদ্ধ করিয়া লৌহ বা তাম্র কিঙ্ক! পিত্তলের চক্র নাগযষ্টির মধ্যে বন্ধন । করিবে । চক্রের পরিমাণ—বাপীতে বার অঙ্গুল, পুষ্করিণীতে ষোড়শ এবং সাগরে একহাত পরিমাণ চক্র হইবে । পতাকাবন্ধনের মন্ত্ৰ—ওঁ যুব সুবাসাঃ পরিবীত আগাৎ স উ শ্রেয়ান ভবতি জায়মানঃ । তং ধীরসিঃ কবয় উন্নয়ন্তি সাধ্যে মনসা দেবয়ন্তঃ । অনন্তর “ওঁ যষ্ট্যে নমঃ" মন্থে সালস্কৃত নাগযষ্টির যথাশক্তি পূজা করিয়া পুরোহিত শঙ্খ ও বাদ্যধ্বনি করতঃ রাজতী বরুণপ্রতিম উত্তোলন করিবে । মন্ত্র যথা-—ওঁ উত্তিষ্ঠ ব্রহ্মণস্পতে দেবয়ন্তস্বেমহে । উপ প্র যন্তু মরুতঃ সুদানবঃ ইন্দ্র প্রাশূৰ্ভবা সচা ॥ ঐ প্রতিমাকে তিনবার প্রদক্ষিণপূর্বক “আপো হি ঠা” ইত্যাদি মন্ত্রত্রয় ও “বরুণস্তোত্তস্তনমসি” ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ পূর্বক বরুণ-প্রতিমা খাতজলে বিসর্জন করিবে । অনন্তর দুৰ্ব্বা, গোময়, দধি, মধু, কুশ, মহানদীর জল ও পঞ্চরত্ন ঐ খাতজলে নিক্ষেপ করিবে । মন্ত্র যথা— ওঁ যেহদে রোচনে দিবো যে বা স্বৰ্য্যস্ত রশ্মিষু তেষামপ সু সদস্থতং তেভ্যঃ সৰ্পেভ্যো নমঃ ॥ ওঁ এবং ধ্রুবেণ হবিবাতি সোমং ভূশমলি ।