সমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগকে দৈবতীর্থ বলে। কনিষ্ঠা ও অনামিকার মূলদেশকে কায়তীর্থ কহে। অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর মধ্যদেশকে পৈত্রতীর্থ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির মূলদেশকে ব্রাহ্মতীর্থ কহে। আচমন সময়ে এই ব্রাহ্মতীর্থে জল লইয়া আচমন করিতে হয়।
বৃদ্ধাঙ্গুলিকে অঙ্গুষ্ঠ, তৎপরের অঙ্গুলিগুলিকে ক্রমে তর্জনী, মধ্যম, অনামিকা ও কনিষ্ঠা কহে।
বিষ্ণুস্মরণ মন্ত্র। – ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ। দিবীব চক্ষুরাততম্॥ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ।
শূদ্রাচমন
অয়মেব বিধিঃ প্রোক্তঃ শূদ্রাণাং মন্ত্রবর্জিতঃ।
অমন্ত্রস্য শূদ্রস্য বিপ্রমন্ত্রেণ গৃহ্যতে।
শূদ্রদিগের বেদমন্ত্রে অধিকার নাই। বিপ্র ভিন্ন কাহারও বেদমন্ত্রে অধিকার নাই। –স্ত্রীলোকদিগের বেদমন্ত্রে অধিকার নাই, এই বিধি হইতেছে, অতএব স্ত্রী ও শূদ্র প্রণব (ওঁ) স্বাহা স্বধা প্রভৃতি বেদোক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করিবে না। ব্রাহ্মণ পাঠ করিবে, কার্য্যবিশেষে শূদ্রাদি কেবল মন্ত্র শ্রবণ করিবে। কার্য্যবিশেষে পৌরাণিক মন্ত্রপাঠে স্ত্রী ও শূদ্রগণের অধিকার আছে।
স্ত্রী ও শূদ্রের আচমনে দৈবতীর্থ দ্বারা—অর্থাৎ সমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা ওষ্ঠে জলের ছিটা দিয়া “নমো বিষ্ণুঃ নমো বিষ্ণুঃ নমো বিষ্ণুঃ” এইরূপ বিষ্ণুস্মরণপূর্বক নিম্নলিখিত পৌরাণিক মন্ত্র পাঠ করিবে, যথা,— নমঃ অপবিত্রঃ পবিত্রে বা সর্ব্বাবস্থাং গতোহপি বা। যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরে শুচি:॥
তান্ত্রিক আচমন।
ওঁ আত্মতত্ত্বায় স্বাহা। ওঁ বিদ্যাতত্ত্বায় স্বাহা। ওঁ শিবতত্ত্বায় স্বাহা।
ক্রমে এই তিন মন্ত্রে তিন বার জল পান করিয়া আচমন করিবে।
স্বস্তিবাচন।
পরে গন্ধপুষ্পাদি দ্বারা ব্রাহ্মণত্রয়ের পূজা করিয়া তাহাদিগের হস্তে তণ্ডুল প্রদানানন্তর করযোড়ে পাঠ করবে। "ওঁ কর্ত্তব্যেঽস্মিন অমুককর্মণি—ওঁ পুণ্যাহং ভবন্তোঽধিব্রুবন্তু।” ইহা তিনবার পাঠ করিবে। ব্রাহ্মণগণও নিজ নিজ হস্তস্থিত আতপ চাউল