পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

「?ミー পুরোহিত-দপণ । * ৩য় খণ্ড । পিত্রাদির নিকটে দীক্ষা গ্রহণ করিবে না। মাতার নিকটে দীক্ষা গ্রহণ করা যাইতে পারে। গণেশবিমৰ্ষিণীগ্রন্থে লিখিত হইয়াছে যে, পিতা, মাতামহ, কনিষ্ঠ সহোদর ও শক্রপক্ষ ব্যক্তির নিকট দীক্ষিত হইলে,—সেই দীক্ষা কল্যাণকরী হয় না । রুদ্রজামলে কথিত হইয়াছে—পতি স্বীয় ভাৰ্য্যাকে, পিতা পুত্রকন্যাকে ও ভ্রাতা সঙ্গেদরকে দীক্ষিত করিবে না। পতি যদি সিদ্ধমন্ত্র হন, তবে পত্নীকে দীক্ষিত করিতে পারেন, কিন্তু তাহাকে স্বীয়-শক্তিরূপে গ্রহণ কবিলেন, তাতার সহিত পুত্রিকালৎ ব্যবহার করিবেন না । পিতা ও মাতামহও যদি সিদ্ধমন্ত্র হন, তবে তাহাদের নিকট মন্ত্রগ্রহণ করা যায়। যদি তানবধানতা এবং নিযেধ পাক্যের তাজ্ঞানতা বশতঃ পিতা ও মাতামহাদির নিকট মন্ত্রগ্রহণ করা হয়, তবে প্রায়শ্চিত্ত করিয়া পুনরায় দীক্ষিত হইবে । শঙ্খ বলেন,— “দৃশসহস্রজাপেন সৰ্ব্বকমুষমাশিল্পী ।” “প্রায়শ্চিত্তন্তু অযুতসাবিত্ৰীজপঃ সৰ্ব্বত্র দর্শনাৎ "—তন্ত্রসারঃ । দশসহস্র গায়ত্ৰী জপ করিলে প্রায়শ্চিত্ত হয় বা সকল পাপ নষ্ট হয়,--- অতএব ঐরূপ দীক্ষার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপে দশসহস্র গায়ত্ৰী জপ করিলে । সদগুণবিশিষ্ট মন্ত্রজ্ঞানপলায়ণা স্ত্রী-গুরুর নিকটে মন্ত্রগ্রহণ করিলে শুভ ফল হয়। বিশেষতঃ মাতার নিকটে দক্ষিত হইলে তাপেক্ষাকৃত অষ্টগুণফল হয় । শূদ্র ও স্ত্রীগণকে প্রণব ও প্রণবঘটিত মন্ত্ৰদান করিবে না । শূদ্ৰকে আত্নমন্ত্র, গুরুর মন্ত্র, অজপা মন্ত্র, ( হংসঃ ), স্বাহ ও প্রণব সংযুক্ত মন্ত্র অপণ করিলে, ব্রাহ্মণের অধোগতি হয়, এবং শিষ্য শূদ্রও নরকগামী হয়। বীজ সকলের মনন দ্বারা অর্থাৎ স্মরণ-উচ্চারণাদি দ্বারা সংসার হইতে ত্ৰাণ পাওয়া যায়, এই নিমিত্ত উহাকে মন্ত্র বলে । অতএব নক্ষত্রচক্র ও রাশি চক্র বিচার করিয়া যাহা অস্তৃকুলমন্ত্র, তাহাকে ভজনা করিবে । বারাহীতন্ত্রে বলিয়াছেন,—তারাচক্র, রাশিচক্র এবং নামচক্র বিচারে যদি মন্ত্র অনুকুলমন্ত্র হয়, তবে অন্তচক্র বিচার করিবে না। কিন্তু ধনী মন্ত্র ও অকুল গ্রহণ করিবে না, ইত্যাদি নিষেধবাক্য থাকায় ঋণীধনীচক্র ও কুলাকুলচক্রের বিচারও আবশুক—বুঝা যাইতেছে। যে মন্ত্রের অন্তে “হু ফটু” আছে, তাহাকে পুংমন্ত্র, যাহার অস্তে “স্বাহী” আছে, তাহাকে স্ত্রী-মন্ত্র এবং যাহার অন্তে “নমঃ” আছে তাহাকে মপুংসক মন্ত্র বলিয়া জানিবে। সুতরাং পুংজ্যাদি ভেদে মন্ত্র তিন প্লকার । " * 跨 + ". .