পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

학한) | দীক্ষা-প্রকরণ । 49 এখন যে প্রকারে চক্রের দ্বারা শুদ্ধাশুদ্ধি বিচার করিতে হয়, তাহা এই রূপ —মন্ত্রের স্বরব্যঞ্জনবর্ণ সমুদয় পৃথক পৃথকৃ রাখিবে । এইরূপ করিলে ষে যে বর্ণ দৃষ্ট হইবে, সেই সকল বর্ণ চক্রের যে যে কোষ্ঠায় আছে, সেই সেই কোষ্ঠার উপরিভাগে যে সকল অঙ্ক থাকিবে, প্রত্যেক বর্ণের সেই সকল অঙ্ক লইয়া একত্রে যোগ করিলে যোগফল যত হইবে, তাহাকে ৮ দিয়া হরণপূর্বক অবশিষ্ট অঙ্ক এক স্থানে রাখিবে । তারপরে মন্ত্রগ্রহীতার নামের স্বর ব্যঞ্জন বর্ণ সকল পৃথক পৃথক করিয়া উত্তমরূপে নিম্নকোষ্ঠায় কি অঙ্ক আছে, সেই অঙ্ক লইয়া যোগ ও আট দিয়া ভাগ করিলে যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা লইবে । এখন মন্ত্রের অঙ্ক, কি মন্ত্রগ্রহীতার অঙ্ক অধিক হইল, দেখিতে হইবে ; যে অঙ্ক অধিক হইবে, তাহা ঋণী এবং যে অঙ্ক নূন হইবে, তাহাই ধনী । মন্ত্র ঋণী হইলে তাহা গ্রহণ করিবে, মন্ত্র ধনী হইলে, তাহা কদাচ গ্রহণ করিবে না । মন্ত্রাঙ্ক ও নামাঙ্ক সমান হইলেও তাহা অমঙ্গলপ্রদ নহে । মন্ত্রগ্রহীতার নামগ্রহণ সম্বন্ধে সমস্ত তন্ত্রেরই সাধারণ মত এই যে, লোকপ্রসিদ্ধ নাম ও পিতা মাতা কর্তৃক রক্ষিত নাম এবং যে নাম দ্বারা সম্বোধন করিলে নিদ্রিত ব্যক্তি জাগরিত হয়, দুর হইতে প্রত্যুত্তর করে এবং যে নাম গ্রহণ করিয়া আহবান করিলে অন্যমনস্ক অবস্থাতেও উত্তর প্রদান করে,-সেই নামগ্রহণ ও তাহাই লইয়া বিচার করিবে । Ε. “কালিদাস” “হর’ এই মন্ত্র গ্রহণ করিতে হইলে, ঋণী ধনী চক্রের বিচার এইরূপ করিতে হয়,—প্রথমে সাধ্যাঙ্ক দেখিতে হয়—সাধ্য হইল মন্ত্র, অতএব ‘হর’ মন্ত্রের স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ পৃথক্ করিলে এইরূপ হয়—হ অ র অ । সাধ্যাঙ্ক চক্রের উপর কোষ্ঠায়,—এখন দেখিতে হইবে, সাধ্যাঙ্ক ঐ গুলি কত অঙ্ক— হ+৩=অ+৬ র+৩=অ+৬। এই সমস্ত অঙ্ক যোগ করিলে ১৮ হইল, ৮ দ্বারা ভাগ করিলে, ১৮র ২ অবশিষ্ট থাকিল। এখন সাধকাঙ্ক দেখিতে হইবে। সাধকাঙ্ক নীচের কোষ্ঠায় । সাধক বা মন্ত্র-গ্রহীতার নাম কালিদাস । উহার স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ পৃথক্ করিয়া তাহার অঙ্ক স্থির এইরূপ হয়—ক আ, ল ই, দ জা, * マ平 I マ十ペ=wl+ペ=研+s=業+ュ=W十>=wl+R="+8=*十 ২ । এই সমস্ত অঙ্ক যোগ করিলে ১৭ হইল, ৮ দিয়া ভাগ করিলে ১ অবশিষ্ট থাকে, ইহাতে দেখা যাইতেছে, সাধ্যাঙ্ক অর্থাৎ মন্ত্রাঙ্ক অধিক, অতএব মন্ত্রাঙ্ক ঋণী ; আর সাধকাঙ্ক অর্থাৎ মন্ত্রগ্রহীতার অঙ্ক কম, অক্সব ধনী-সুতরাং কালিদাস ‘হর’ মন্ত্র গ্রহণ করিতে পারে। 轉