[ ৪ ]
সুষুম্নাপথে হৃদয়স্থ তেজ ধ্যানের পুষ্প লইয়া কাহাকেও ঘটোপরি সংস্থাপন করিতে দেখা যায় না। আরও নানাবিধ কারণ থাকিতে পারে।
যাহা হউক, সঠিকভাবে পৌরোহিত্য-ক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হইলে, পুরোহিতের সংস্কৃতশাস্ত্রে পারদর্শিতা থাকা আবশ্যক,―বহু শাস্ত্র অধ্যয়নের আবশ্যক, যোগী হওয়া আবশ্যক। বর্ত্তমান পুরোহিতগণের মধ্যে অনেকে প্রকৃত পুরোহিতপদবাচ্য থাকিতে পারেন, কিন্তু অধিকাংশই যে অজ্ঞ, তাহাতে সন্দেহ নাই।
অভিজ্ঞ বা অনভিজ্ঞ সকল শ্রেণীর পুরোহিতেরই পুস্তক ও পদ্ধতি-সংগ্রহও আবার বহুব্যয়সাধ্য।
এই সকল নানা কারণে আমি এমন একখানি পুস্তক সঙ্কলন করিব বলিয়া স্থির করি যে, যাহা দৃষ্টে সকল শ্রেণীর পুরোহিতগণ সুন্দরভাবে কার্য্য সম্পাদন করিতে পারেন। সেই সঙ্গে সঙ্গে ইহাও ভাবিয়াছি যে, এইরূপ একখানি পুস্তক প্রস্তুত হইলে বিষয়িগণও এতদ্বিষয়ে অভিজ্ঞ হইতে পারিবেন, এবং পুরোহিত কি করিতেছেন না করিতেছেন—বুঝিয়া লইতে পারিবেন; এইরূপ হইলে ধর্ম্মোন্নতির সম্ভাবনা আছে।
১২৯৮ বঙ্গীয়াব্দে পুরোহিত-দর্পণের প্রথম প্রচার। ক্রমে ক্রমে সংখ্যায় সংখ্যায় তখন ইহা প্রকাশ হইয়াছিল। সে দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বাদশ সংখ্যা পর্যন্ত। এক্ষণে,—সাহিত্যপ্রচার কার্য্যালয়ের স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় শ্রীযুক্ত বাবু নবকুমার দত্ত মহাশয়ের যত্নে ও অজস্র অর্থব্যয়ে পুরোহিত-দর্পণের সম্পূর্ণাংশ নূতন সংস্করণরূপে প্রকাশিত হইল। ইহা দ্বারা হিন্দু-সমাজে সামান্য উপকার হইলেও কৃতকৃতার্থ হইব।
১০ই শ্রাবণ, ১৩১১ বঃ | শ্রীসুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য | |
অনন্তপুর |