অষ্টম সংস্করণের বিজ্ঞাপন।
দেখিতে দেখিতে এই অল্পদিনের মধ্যে পুরোহিত-দর্পণের আটটী সংস্করণ হইয়া গেল। আট সংস্করণে প্রায় পঞ্চবিংশতি সহস্র পুস্তক প্রচার ও বিক্রীত হইয়াছে। ইহাতে বুঝিয়াছি, যেরূপ গ্রন্থের অভাব অনুভব করিয়া পুরোহিত-দর্পণের প্রচার করিয়াছিলাম, বাস্তবিকই হিন্দু-সমাজে সে অভাব ছিল, এবং পুরোহিত-দর্পণের দ্বারা সে অভাব কথঞ্চিৎ পূরণ হইতেছে।
ইহার সত্বাধিকারী শ্রীযুক্ত নবকুমার বাবুকে এতদ্গ্রন্থের উন্নতি কল্পে যখন সে পরামর্শ প্রদান করি, হিন্দুধর্ম্ম রক্ষার জন্য তখনই তিনি অর্থের মায়া পরিত্যাগ করিয়া তাহাই করিতে স্বীকৃত হয়েন। সপ্তম সংস্করণ পর্য্যন্ত ইহার আকার ক্রমেই পরিবৰ্দ্ধিত হইয়া বহু বিষয় সন্নিবেশিত হইয়া আসিয়াছে; ― কিন্তু তথাপিও অনেক বিষয় সন্নিবেশিত হইতে বাকি ছিল। অষ্টম সংস্করণে বহুপদ্ধতি সন্নিবেশিত করা হইল। ইহাতে গ্রন্থকলেবর অত্যন্ত বুদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে কিন্তু প্রকাশক সে ক্ষতি স্বীকার করিয়াছেন—কেন না, পুরোহিত-দর্পণের প্রচার লাভের জন্য নহে, যাহাতে হিন্দুধর্ম্মের ক্রিয়াকলাপগুলি যথার্থরূপে সম্পাদিত হয়, যাহাতে হিন্দুর সমস্তক্রিয়াকলাপ-পদ্ধতিগুলি একত্রে—এক স্থানে সন্নিবেশিত থাকে তাহারই চেষ্টা মাত্র। আমরা সে চেষ্টা সাধ্যমত সম্পূরণ করিতেছি। ভরসা করি, এতদ্গ্রন্থে হিন্দু-সমাজের কথঞ্চিৎ সাহায্য হইবে।
পুরোহিত-দর্পণকে ভিত্তিস্বরূপ করিয়া লোভী ব্যক্তিগণ পুরোহিত-দর্পণের জঘণ্য নকল করিয়া উদ্দেশ্য-সিদ্ধির পথে অন্তরায় হইতেছিল। কিন্তু প্রকাশক মহাশয় বহু অর্থব্যয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ করিয়া সে অন্যায়পথে অর্গলবদ্ধ করিয়াছেন, স্থানান্তরে হাইকোর্টের রায় প্রদত্ত হইল ইতি
জন্মাষ্টমী |
শ্রীসুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য |