পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৮৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম খণ্ড । * চতুৰ্ম্মাস্ত-ব্ৰত । tణాసిన কর্কট সংক্রান্তি হইতে বৃশ্চিক সংক্রাত্তি পৰ্য্যন্ত। ৩। অথবা তুলা সংক্রাত্তি হইতে বৃশ্চিক সংক্রাস্তি পৰ্য্যন্ত । ৪ । 臀 এই ব্রতে বিভিন্নদ্রব্য ত্যাগ করিলে বিভিন্নরূপ ফল লাভ হয় ৷ যথা— গুড় ত্যাগ করিলে স্বরের মধুরতা, তৈল বর্জনে সৌন্দৰ্য্য, কটুতৈলত্যাগে শত্রুনাশ, স্থালীপাক (ইাড়িতে রাধা ) ভক্ষণ ত্যাগ করিলে বংশবৃদ্ধি এবং মধু ও মাংসবর্জনে মানব ঋষির ন্যায় যোগী ও আধি-ব্যাধিহীন তেজস্বী হইতে পারে। একদিন অন্তর একদিন ভোজন করিলে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হয়। নখলোমধারণে প্রতিদিন গঙ্গাস্বানের ফল লাভ হয়। “নমো নারায়ণয়” এই মন্ত্র জপ করিলে অনশন ব্রতের ফল হয়। বিষ্ণুর চরণবন্দনে গোদান জন্য ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। যে ব্যক্তি যোগাভ্যাস করে সে মুক্ত হয় । তামুলত্যাগে বহুতোগ্য, বৃতত্যাগে উত্তম লাবণ্য, ফলত্যাগে বুদ্ধি ও শাকপত্রাদিত্যাগে বহুপুত্রলাত হয়। পকান্ন ত্যাগে পাপহীন হয় । পদাভ্যঙ্গ পরিত্যাগে দেহের সৌগন্ধ, দুগ্ধ, তক্র ও দধি ত্যাগে নর গোলোক প্রাপ্ত হয় । ভূমিতে শয়নে বিষ্ণুর অমুচর হয়, মৌনী হইলে তাহার বাকৃসিদ্ধি হয়। ভূমিতে ভোজনে রাজত্ব এবং বিষ্ণুপাদবন্দনে গোদানজ পুণ্য লাভ হয়। বিষ্ণুবমন্দিরে উপলেপন ও মার্জন করিলে কল্পকাল পর্যন্ত বিষ্ণুলোকে বাস হয়। পত্রে ভোজন করিলে কুরুক্ষেত্র তীর্থের ফল, প্রস্তরপাত্রে ভোজন করিলে প্রয়াগ স্বানজনিত ফল লাভ হয়। মাষদ্বয় (মাষকলাই ও বিউলী ) পরিত্যাগে রোগহীন হয় । নরগণ আষাঢ়াদি চতুৰ্ম্মাসে প্রাতঃস্নায়ী হইবে । এই ব্ৰত বিষ্ণুর অতীব প্রতিকর। ইহার অনুষ্ঠানে বিষ্ণু পরম প্রীত হন । প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপনস্তে আচমন করতঃ স্বক্তিবাচন পূর্বক সঙ্কল্প করিতে হয় । মাংস বর্জন করিলে এইরূপ সংকল্প করিবে —“বিষ্ণুরোম্ তৎসদস্য আষাঢ়ে মাসি শুক্লে পক্ষে দ্বাদশু্যান্তিথাবারভ্য কীৰ্ত্ত্যায়ুৰ্যশোবল-প্রাপ্তিকামঃ চতুর্মসিং যাবৎ মাংস-বর্জনরূপ-চাতুৰ্ম্মাস্যত্রতমহং করিষ্যে" । ১ । একান্তরোপবাস করিলে--"বিষ্ণুরোম্ ৩ৎসদস্তেত্যাদি—বিষ্ণুলোকপ্রাপ্তিকামঃ একান্তরোপবাসরূপ-চাতুৰ্ম্মাস্যত্রতমহং করিস্থ্যে"। ২ । -- নখলোম ধারণ করিলে-“বিষ্ণুরোমদ্যেত্যাদি—প্রতিদিনং গঙ্গান্ধানজন্তফলসমফলপ্রাপ্তিকামো নখলোম-ধারণরূপ-চাতুৰ্ম্মাস্যত্র তমহং করিষ্ঠ্যে" ী ৩ । নারায়ণ মন্ত্র জপ করিলে—“বিষ্ণুরোমদ্বেত্যাদি-অনশনজন্ত-কলসমফলপ্রাপ্তিকামঃ ইয়ৎসংখ্যক-নমো নারায়ণায়েতিমন্ত্রজপমহং করিস্যে” । ৪ ।