পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৯২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম খণ্ড°। সত্যনারায়ণ-পাচালী । , ৯২৭ রাজ আজ্ঞা মতে ॥ সহসা বিপদ ঘটে সত্যের অপ্রতে। রজনীতে রাজগৃহ হইতে হরি ধন। চোর ঘায় দ্রুতপায় নিজ নিকেতন ॥ কোটাল দেখিয়া চোরে পিছু পিছু যায়। সাধুঘর-সীমা গিয়া চোর ফিরে চায়। আসছে কোটাল দ্রুত যমদূত প্রায় । দেখি ভয়ে ধন ফেলি অমনি পলায় । জামাতার সহ সাধু আছিল অঙ্গনে পড়িল যে হৃত ধন তাদের সদনে ॥ কোটাল আসিয়া পিছু দেখি সেই ধন । রাজধনহারী এই চোর দুইজন ॥ এতেক ভাবিয়া দোহে বন্ধন করিল । রাজার নিকটে দ্রুত লইয়া চলিল। নৃপবরে কোতোয়াল করে নিবেদন । ধন সহ আনিয়াছি তস্কর দুজন ॥ জামাতার সহ সাধু করি প্রণিপাত। কহে সুবিচার কর পৃথিবীর নাথ ॥ বিদেশী বণিকু মোরা বাণিজ্যাৰ্থ আসা । বহু ধনরত্ন লৈয়া করিয়াছি বাস; i ঘরে থাকি বিকি কিনি করি মাত্র এই । যে হরিল রাজধন পলাইল সেই ॥ বরঞ্চ জিজ্ঞাসা কর প্রতিবেশীগণে । বাসা ছাড়ি অন্যত্র মা যাই দুই জনে ॥ ইত্যাদি করিল দেহে বহু কাতরতা | সত্যের কোপেতে রাজা না শুনিল কথা ॥ আজ্ঞা দিল কোতোয়ালে শুনরে কোটাল । কারাগারে রাখ দোহে আজীবন কাল ৷ যত রত্ন ধন ওর আছয়ে ভাণ্ডারে । আইস লইয়া সব আমার সংসারে ॥ রাজআজ্ঞা পেয়ে দূত তাহাই করিল। কারাগারে পড়ি সাধু কাদিতে লাগিল । হায় হায় কি হইল আসিয়া বিদেশে । পোড়াভালে এই কিরে ছিল অবশেষে ॥ বড় আশা ছিল মনে জামাতারে লয়ে । শিখাইব ব্যবসায় বিদেশে আসিয়ে ॥ নাহি মম পুত্র এই জামাতাই সব । সে সাধে বিষাদ হ’ল একি অসম্ভব ॥ কোথা মোর আদরের কন্যা কলাবতী । কোথা রৈলে প্রিয়তমা ভাৰ্য্যা লীলাবর্তী ॥ কি দুৰ্গতি পাই হেথা জান না তোমরা । এতদিনে অনাথিনী হইলে তোমরা ; মনে মনে কত আশা ধে করিয়া । বাণিজ্য হইতে যাব ধন রত্ন লৈয়া । আর নাযাই । ফিরি আর না দেখিব । তোমাদের মুখচন্দ্র যাবৎ বাচিব ॥ ইত্যাদ বিবিধ ছাদে র্কাদে কাতরিয়া । ক্রমে ক্রমে কত দিন যায় বাহিরিয়া ৷ সাধু রহে বিদেশেতে বন্দী কারাগারে । গৃহের বারতা সবে গুনঃ অতঃপরে ॥ নারায়ণ-কোপে লক্ষ্মী সাধুরে ছাড়িল । গৃহেতে যে ধন ছিল তস্করে হরিল ৷ দহনোপযোগী গৃহ দহিত হইল । বেতন বিহনে দাস দাসী না রহিল । স্ত্রীকন্যা সাধুর ক্রমে অল্প নাহি পায়। নগরে করয়ে ভিক্ষণ উদর জালায় ॥ এক * দিন সন্ধ্যাকালে ক্ষুধার পীড়নে । কলাবতী উপনীত ব্রাহ্মণ-ভবনে ॥ সত্য