পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৯৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె8 o পূরোহিত-দর্পণ । , l, { কৈল ঘর। রান্ধিল সত্বর ভণে দ্বিঙ্গ রামেশ্বর । হেনকালে কুতুহলে শীঘ্র দ্বিজবর । সিল্লির সামগ্ৰী লৈয়া সুখে আইল ঘর ॥ হেথ পথে লৈয়া দ্বিজ পুজার আয়োজন। আনন্দে মন্দিরে আইল গোবিন্দ যেমন ॥ দেখি পতি উঠে সতী করি যোড়হাত । কহ এতক্ষণ কোথা ছিলে প্রাণনাথ ॥ পদ প্রক্ষালনের জল দিলেন হরিষে। আলনে বলিলা দ্বিজ লতী বাম পাশে । সালঙ্কার সীমস্তিনী দেখিয়া বিস্ময় । জিজ্ঞাসিতে জায়া জনকের কথা কয় ॥ বনিতা-বচনে বিপ্র বারিপূর্ণ আঁখি । চক্রপাণি চিনিতে নারিলে চন্দ্ৰমুখি ॥ প্রভু এসেছিল সাধ্বী হয়ে তোর পিতা। তুমি ধষ্ঠা পীর-কন্যা কীৰ্ত্তি কল্পলতা ; প্রেয়সীরে প্রশংসিয়া কহিলেন কথা । কেশবের সে-সব এ-সব সব কথা • পতি কহে সতী মোহে শুনি বিবরণ । মহোল্লাসে করিল পূজাব আয়োজন ॥ পরম উৎসাহে দ্বিজ ব্রাহ্মণীরে কয় । সিন্নি দেহ সৰ্ব্বথা বিলম্ব বিধি নয় ॥ ঈশ্বরে অপিয়া অন্ত লোকে ডাক তুমি । সিন্নি দিয়া পশ্চাৎ প্রসাদ পাব আমি ॥ পার্শ্ববর্তিগণে সতী আমন্ত্রিয়া আনে। বিষ্ণু শৰ্ম্ম বসে বিশ্বনাথ আবাধনে ॥ প্রভূ-পদ পঙ্কজ পূজিয়া তপোধন । বন্দন করিয়া শেষে ব্রত কথা কন । প্রভু-মুখশ্রত যত করিয়া সংযোগ। নমঃ সত্যপীরায় বলিয়া দিল ভোগ ॥ অন্তরীক্ষে অনন্তু পাতিয়া নিল হাত । শঙ্কর পাইল যেন শ্ৰীফলের পাত । অপাব আনন্দ উপস্থিত নারায়ণে পাণ্ডব পূজিল যেন পূর্ণ আয়োজনে ॥ যে প্রকারে কৃপা করিলা ঠাকুর। আদ্য অন্ত সেই সব কহিলা প্রচুর ॥ ক্ষমস্ব বলিয়া ঘটে কৈল বিসর্জন । আপনি বাটিতে সিন্নি করিল পত্তন ॥ বিপ্রভাগে দিতে আগে আজ্ঞা মাগে এসে । ব্ৰাহ্মণ সকল সে বিকল হয় হেসে ॥ তার পর সিন্নি দিতে কেহ ত না লয়। সবে হেসে বিবিধ বিদ্রুপ কথা কয় | রাম রাম বলি কেহ কর্ণে দিল হাত । ঘবন হইল বলি কহিল নির্ঘাত ॥ কেহ বলে গলস্বত্র ফেল পুড়াইয়া । মাথা মুড়াইয়া মুখে দাড়ি রাখ গিয়া । কেহ বলে দাড়ি রাখ মোজা পর পায়। নেড় মাথা হলে সিন্নি অতি শোভা পায় ॥ কেহ বলে নামাজ করিতে ভাল জানে। কৃষ্ণচন্দ্র ভজি মুক্ত হৈল এতদিনে ॥ সাৰ্ব্বভৌম বলে বিষ্ণুশৰ্ম্মার মাতুল । ওরে কুলাঙ্গর তুই হইলি বাতুল ॥ বিষ্ণুশৰ্মা বলে সবে বলিলে বিস্তর। ভাল যদি চাও সিন্নি খাও অতঃপর । হরির হুকুম কার বাপে করে রদ। এইরূপে বাড়িল বিস্তর বদবেদ ॥ নিদান কহিল সবে তৃবে সিন্নি খাই । তোরে তার কুপার প্রত্যয় যদি পাই ॥ তোর হরি তোয়ে