দুষ্মন হইয়া বাপ এতেক করিল।
হস্তের না কাঞ্চন মোর জোরে কাইড়া নিল॥২৬৭
মাও দুষ্মন বাপ রে দুষ্মন কারে কিবান[১] বলি।
আবিয়াতে রাণ্ডী বইল্যা মোরে কে দিল রে গালি॥২৬৯
ফুল না ফুটিতে মোর বুণ্টা যে কাটিল।
না আইতে জোয়ারের পানি নদী শুকাইল॥২৭১
না আইতে মুখের নিশি খসিল চন্দমা।
না মিটি যৈবনের সাধ টুটিল গরিমা॥২৭৩
পরাণের ধাই ওগো কহি যে তোমারে।
শীঘ্র কইরা লইয়া যাহ মোরে বন্দিখানা ঘরে২৭৫
কান্ধে ভর কইরা কন্যা চলিল সত্বরে।
আষাঢ়িয়ার পাগেলা নদীরে যেমুন ছুট্লো অন্ধকারে॥২৭৭
(৯)
শুন রে উপাক্যা[২] জহ্লাদ, জহ্লাদ আরে,
কহি যে তোমারে।
সকুলে ছাড়িয়া দেও ত আমার পরাণ বন্ধুরে॥২৮০
সোণার কপালী কন্যা শির থাক্যা খুলিল।
জহ্লাদের হস্তে কন্যা তুলিয়া না দিল॥২৮২
হস্ত হইতে খুল্যা কন্যা হীরার কঙ্কণ।
জহ্লাদের হস্তে দিয়া জুড়িল ক্রন্দন॥২৮৪
একে একে খুলে কন্যা হায় ভালা বাজু না বন্ধ তার।
একে একে খুলে কন্যা হীরা মতির হার॥২৮৬
গুঞ্জরী পঞ্চম কন্যা খুলিয়! লইল।
ধর লও বাপের জহ্লাদ হাতে তুল্যা নাই সে দিল॥২৮৮