পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আন্ধা বন্ধু
১৮৭

উজান সুরে বাজেরে বাঁশী ভাইটায় যায়রে বইয়া।
উদাস হাওয়া কানের কাছে কিবান যায় কইয়া
ওরে মন পবনার নাও......॥
সেইত না নদীর গো পারে কোন বা সোনার দেশে।
রসইয়া[১] সোণার মানুষ সেই না দেশে বইসে॥
বাজাও বাজাও বাঁশী বাজাও রে আর বাই শুনিয়া।
(বাঁশী শুন্যা) ঘুমের মানুষ জাগিয়া ঘুমায় এই বাঁশী
শুনিয়া, ওরে মন......॥
না জানি অন্ধের বাঁশী কিবান যাদু জানে।
ঘরে বান্ধ্যা বেড়ার মন বাইরে টাইন্যা আনে॥
কিবা দিব দান ধাই কহত আমারে।
মধুভরা বাঁশের বাঁশী পাগল করলো মোরে লো ধাই
কইয়া দাও আমারে......॥
সোণার কপাট রূপার খিল গো বাপের ভাণ্ডার।
বাপের আগে কয়লো ধাই খুল্যা দেও দুয়ার
লো ধাই কইয়া......॥
ধূলা মাণিক একই কথা দূতীলো তাতে কিবান আছে।
আগে জান কিবান দিলে অন্ধের দুঃখ ঘোচে
লো ধাই......॥
রাজার পুত্র যেমন লো ধাই মন কয় যে আমারে।
বড় দুঃখে আন্ধা হইয়া দুয়ার দুয়ার ঘুরে
লো ধাই......
দেহে যত সয়লো দূতী অন্তরে না সয়।
কিবান ধন দিলে বল অন্ধ খালাস হয়
লো ধাই......॥


  1. রসইয়া=রসিক।