পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা

জন্মিয়া না দেখলাম কভু চান্দ সূর্য্যের মুখ
গো রাজা......॥
বিধারতা না দোষী আমি কপাল দোষ আমার
দিন রজনী আমার কাছে সমান অন্ধকার
গো রাজা......॥
পন্থে পন্থে ঘুইরা ফিরি দুঃখের বেসাতি।
বনে কাইন্দা বনে ঘুমাই গাছ তলায় বসতী
গো রাজা......॥
কোকিলায় দিয়াছে জনম কাকেত পুষিল।
অভাগা বলিয়া মোরে সবে খেদাই[১] দিল গো
দরদী ভবে আপন বলতে......॥”
“শুন শুন নবীন পান্থ আরে কহি যে তোমারে।
আইজ হইতে কর বসত এই না রাজ্যপুরে॥
ভিক্ষার ঝুলি ছাড় তুমি ঘরে বস্যা খাও।
আজি হইতে হইলাম আমি তোমার বাপ মাও॥
ভরা ভাণ্ডারের ধন দুয়ার থাকবো খোলা।
গলায় পরিবা তুমি মাণিক্যের মালা;
তুমি থাক আমার ঘরে।
অঙ্গেত পরিবা তুমি রাজার ভূষণ।
সর্ব্বাঙ্গে গাঁথিয়া দিব রত্নাদি কাঞ্চন॥
তুমি থাক আমার ঘরে।
মন্দিরে থাকিবা তুমি উত্তম বিছানে।
ঘুমতনে জাগিব আমি তোমার বাঁশীর সনে॥
এক কন্যা আছে মোর পরাণের পরাণ।
তাহারে শিখাইবা তুমি তোমার ঐনা বাঁশীর গান॥


  1. খেদাই=তাড়াইয়া।