(৩)
“পোহাইল সুখের নিশি গো আমি অভাগিনী।
বঞ্চিয়া প্রভুর সাথে গো সুখের রজনী॥২
গগনেতে হইল বেলা গো দণ্ড তিন চারি।
সে দিনের দুঃখ কথা গো কহিতে না পারি॥৪
কুটিরের বাইরে বসি গো আমরা দুইজন।
তরুতলে বসিয়াছেন গো দেবর লক্ষ্মণ॥৬
বসিতে বসিতে মোর গো ঘুমে ঢুলে আঁখি।
অলস নয়নে গো প্রভুর চান্দমুখ দেখি॥৮
ঊরু উপাধান গো প্রভু পাতিল তখন।
অঞ্চল পাতিয়া গো আমি করিলাম শয়ন॥১০
এমন সময়ে এক গো সোনার হরিণী।
কুক্ষণে নজর পড়ে গো মুই অভাগিনী॥১২
মেঘের অঙ্গেতে যেমন গো বিজলীর ঝলা।
চলিছে সোণার মৃগ গো বন করি উজলা॥১৪
প্রভুরে কহিলাম আমি গো যুড়ি দুই পাণি।
এত যে হইবে গো নাহি জানি অভাগিনী॥১৬
‘এমন সুন্দর মৃগ গো কভু দেখি নাই।
সোনার হরিণ ধরি গো দেহ ত গোঁসাই॥১৮
শুক্না লতায় বান্ধি গো কুটিরের দ্বারে।
যাবৎ না মানে পোষ গো রাখিব ইহারে॥২০
অযোধ্যাতে যাব মোরা গো এই মৃগ লইয়া।
বনের চিহ্ন রাখ গো প্রভু ইহারে ধরিয়া॥’২২
হাতে ধনু উঠিলেন গো কমল-লোচন।
নাগপাশ অস্ত্র লইয়া গো করিয়া যতন॥২৪