“উদ্ধার কর্যা আনছি তোমায় জানের আশা ছাড়ি।
তোমার যে দুঃখু আমি সইতে না পারি॥
মনের কথা কইবাম কন্যা শুন দিয়া মুন।
তোমারে দেখিয়া মন হইল উচাটন॥
তোমার যে চান্দমুখ যেমুন পউদের ফুল।
আসমানের কালা মেঘ তোমার মাথার চুল॥
পত্যা[১] তারার হেন তোমার দুই আখি।
পউদের নাল হেন তোমার অঙ্গ দেখি।
পরথম যৈবন তোমার ফাট্যা বাইরায় রূপ।
আমার চউখ না পরিছে তোমার হেন রূপ॥
এই রূপের লাগিল কন্যা হইয়াছি কাঙ্গালী।
একেলা বসিয়া কন্যা থাকি নিরিবিলি॥
যত ইতি কন্যা মোর বিয়ার কারণে।
কেউ না সে লাগিল হেন আমার মনে॥
তোমারে দেখিলাম কন্যা মনের মতন।
তুমি যুদি ঘুচাও কন্যা মোর মনের বেদন॥”
“আপনে হইছুইন জমিদার, মুই গিরস্থের নারী।
আপনের লগে মোর পিরীতি পউদ পাতার পানি[২]॥
আপনি করবেন জমিদারী রাজপাটে বইয়া।
মুই কলঙ্কিনীর পানে না চাইবাইন ফিরিয়া॥
দুই দিনের লাগ্যা কেনে আপদোষী[৩] হও।
ক্ষেমা দিয়া যাউখাইন[৪] কুমার ধরি দুই পাও॥
মুই কলঙ্কিনী নারী ঘুরি বনে বনে।
আনইলে ডুবিয়া মরি আপনের সামনে॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০৪
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা