সাক্ষী থাক চান্দ তারা আর বিরক্ষগণ।
তোমরা সাক্ষী থাক্য মুই সকল করলাম দান॥
মায়ে ছাড়ল বাপে ছাড়ল ছাড়ল সর্ব্বজনে।
কলঙ্কিনী বল্যা ছাড়ল পাড়াপড়শী জনে॥
মনে চিন্তে না জানি পাপ বিমুখ বিধারতা।
আশা দিয়া রাখলা মোরে তুমি যেন দেবতা॥”
এই কথা শুনিয়া কুমার হরষিত হইয়া।
পাওতনে[১] উঠাইল কন্যা বুকেত রাখিয়া॥
আসমান তলে লাম্যা স্বরগ ভূমেতে আসিল।
এই মতে বীরনারায়ণের বিয়া যে হইল॥
ভাবনা চিন্তা কিছু নাই তারার মনে।
দোহে দোহা এক কায়া হইল মিলনে॥
বর্ম্মাণ্ডের কথা তারা পাশরিয়া গেল।
আউস মিটাইয়া দোহে দোহারে দেখিল[২]॥
এর পর তবে তারার হইল চিন্তন।
কেমুন কইরা দেশের মধ্যে করবাম বিচারণ॥
মায়ে বাপে পাইলে কাট্যা করব চাক চাক।
কলঙ্কী বলিয়া সবে রটাইব দেশের মাঝ॥
যাই মোরা দোহে মিলি দেশ ছাড়িয়া।
আপদ বালাই যত যাউক দুর হইয়া॥
সল্লা করিয়া দোহে ডেঙ্গিতে উঠিল।
প্রেমের টানেতে ডিঙ্গা পঙ্খী উড়া দিল॥ (১—৭৮)