রাজার খিরাজ নাই গর্দ্দানের ডর না পাই
নিশ্চিন্তা হইয়া থাকবা সুখে।
বাপ দাদার ভিটা ছাড়িয়া পাপে মরবা পুড়িয়া
কুবুদ্ধি করিয়া কেবুল ডাক্যা আন দুঃখে॥
এই জঙ্গলা বিছড়াইয়া দেখ একবার দর হইয়া
পাও কিনা পাও সে কুমারে।
পরে বুদ্ধি ঠাওর কর্যা যাইবাম ঘর ফিরিয়া
দেখবাম কিবা করে জমিদারে॥ (১—৩২)
(৯)
বীরনারাইণ জুর্যা আনে দুইজনে খায়।
আর সম বস্যা দুইয়ে[১] সুখেতে গুয়ায়॥
রঙ্গে ঢঙ্গে বস্যা তারা করে আলাপন।
বনের ফুল দিয়া অঙ্গ করয়ে সাজন॥
দুষ্মন বালাই নাই কেউ নাইসে পীড়ে।
জঙ্গলার মধ্যে ফিরে হরষ অন্তরে॥
জমিদারের লোক লস্কররে আরে জাইরে জঙ্গলা বিছড়াইয়া।
বিরথা পেরাসনি[২] পাইল কুমারে না পাইয়া॥
ঘুমত উঠিয়া কুমাররে আরে কুমার আধারের[৩] তল্লাসে।
ঘুরিতে ঘুরিতে আইল তারার আশে পাশে॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া তারারে আরে ভাইরে বাড়ীত ফিরত চায়।
এমুন সময় দেখে কে যেন পথত দিয়া যায়।
নজর কর্যা দেখে তারারে আরে ভালা কুমারের আলছা[৪]।
বেকে বের্যা মিল্যা ধরে কুমারের কাছা॥
ধরিয়া দেখিল কুমাররে এই সে বীরনারাইণ।
হরষিত হইয়া তারা করে পরস্থান॥