কাঁইচার দক্ষিণ মুখে দিয়াঙ্গার[১] পারি।
সেইখান হইতে বাইছা দিত বদর শুমারি॥
এ হেন সময়ে হায়রে কি কাম হইল।
নছরের ছুলুপ আসি চরেতে ঠেকিল॥
‘গোবধ্যার’ চর সেই বড় বিষম জাগা।
কত শত মাঝি মালুম পাইয়ে কত দাগা॥
ঝড় তুফান থামি গেইয়ে ভাট্যাল বয়ার।
ভাডার পানি গেইয়ে লামি রাইতর অন্ধকার॥
ধূ ধূ বালুর চর সেই নাইরে এক গাছ খের[২]।
কনদিকদি[৩] যাইব নছর ন পার যে টের॥
বালুর উয়র উইট্টে ছুলুপ ন লড়ে ন চড়ে।
পানি ন বাড়িলে হায় লামায় কেমন কৈরে॥
ফজরে জোয়ার হৈব সেই আশাতে তারা।
দুরফু[৪] রাইত বসি রৈল দিয়া যে পাহারা॥
পাহারায় রৈল তারা খানাপিনা ছাড়ি।
ভাইব্ত লায়িল[৫] কনমিক্যাদি কন্তে[৬] দিব পাড়ি॥
রাইত আর নাইরে বাকী আচ্মান হৈয়ে ছাপ।
পছিম দিক্দি হার্ম্মাদ্যারা দিয়া বইস্যে খাপ॥
গাঙর চিলে ডাক মারিল সুরুজ উডের পূবে।
ধীরে ধীরে আসি জোয়ার বালুচর ডুবে॥
দূরে থাকি ডাকুর দল দুর্মি[৭] ধরি চায়।
দেখিয়া নছর মালুম করে হায়রে হায়॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা