এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রতন ঠাকুরের পালা
৩২৯
পরথমে যখন বন্ধুরে মুখে দিল মুখ।
অঝুরে অবশা অঙ্গ আমার কাঁপ্যা উঠে বুকরে॥১০
পরাণ পাগেলা বন্ধুরে—
চান্দ সাক্ষী সূরুজ সাক্ষীরে সাক্ষী তারাগণ।
এই মতে সঁপ্যা দিলাম জীবন যৈবন রে॥১২
পরাণ পাগেলা বন্ধুরে—
জীবন দিলাম যৈবন দিলাম, আর সে কিছু নাই।
ঘুম থাক্যা জাগিয়া দেখি বন্ধু কাছে নাই ওরে॥১৪
পরাণ পাগেলা বন্ধুরে—”
(৬)
পরভাত কালে উঠে কন্যা সামনে পুষ্পডালা।
চক্ষে লাগ্ল কাল ঘুমরে কেম্নে গাঁথি মালা॥২
কালী হইল সোণার অঙ্গরে লোকে কাণাকানি।
দিবসে না হইব দেখারে হইলাম পাগলিনী॥৪
দিবসে মোর কাজ্জ[১] নাইরে রাত্রি মোর ভালা।
সংসারে মোর কাজ্জ নাইরে ঝইড়া পড়ে মালা॥৬
হাটে মোর কাজ্জ নাইরে কিসের বিকি-কিনি-
ছানে[২] মোর কাজ্জ নাইরে কিসের খাউনী জিউনী[৩] রে॥৮
ঘুমে মোর কাজ্জ নাইরে এ সবে না চাই।
পন্থ পানে চাইয়া থাকিরে কেবল একটু দেখা পাই—
রে বন্ধু একটু দেখা পাই॥১০
৪২