সুখে নিদ্রা যায় বিনাথ নারী বুকে লইয়া।
সুখনিদ্রা ভাঙ্গিল মাগো চরণে দংশিয়া॥
“উঠ উঠ কন্যা তুমি কত নিদ্রা যাও।
জিয়ন মন্তর হারাইয়াছি সপ্পে খাইল পাও॥
কালনাগে খাইল মোরে বিষে ছাইল অঙ্গ।
সংসারের সুখের খেলা আইজ হইতে ভঙ্গ॥”
বিষে কালি হইল অঙ্গরে ঘন বহে শ্বাস।
ততক্ষণে ছাড়ে বিনাথ জীবনের আশ॥
মাথা থাপাইয়া কন্যা কান্দে পাগলিনী।
আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কোথা যাও তুমি॥
চান্দের সমান বন্ধুরে তোমার মুখের হাসি।
আর না দেখিব তোমায় পোহাইয়া নিশি॥
ভেউর জঙ্গলা বন্ধুরে নাইরে সঙ্গী সাথী।
একেলা রাখিয়া বিধি নিলা পরাণের পতি॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া কন্যা শোকেতে বিউর[১]।
মাথার না কেশ ছিইড়া পায় বান্ধিল ডুর॥
ঊর্দ্ধ নালে সপ্পবিষ উজাইয়া চলে।
মস্তকে উঠিল বিষ সেই ঊর্দ্ধ নালে॥
ঢলিয়া পড়িল বিনাথ কন্যার যে কোলে।
হেন কালে সুমাই ওঝা জঙ্গলায় আসিল।
দেখিয়া কন্যা কান্দিয়া পড়িল॥
মন্তর পড়িয়া সুমাই দিল জলপড়া।
নাকেত শুয়াস নাই প্রাণের নাই সাড়া॥
জিয়ন মন্তর ঝাড়ে ওঝা নাহিক পত্যয়।
মহাজ্ঞান মন্ত্র ওঝার হইল ব্যত্যয়[২]॥